নাগরাকাটা: খেদ নিয়েও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নাগরাকাটার দুই হেভিওয়েট নেতা কাজি পান্ডে ও গোবিন লামা। গত মঙ্গলবার দু’জনেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। শাসকদলের ব্লক কমিটির সহ সভাপতি কাজি পান্ডে লুকসান, আংরাভাসা ১ ও আংরাভাসা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত ২৪ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা কমিটির সহ সভাপতি গোবিন লামা মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতি চা বাগানের ১০৩ নম্বর গ্রাম সংসদের আসন থেকে।
কাজি বলেন, ‘দল বলেছিল তাই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। আবার দলের কথা শুনেই প্রত্যাহার করেছি। এলাকার বাসিন্দারাও আমাকে চাইছিলেন। আসনটি দীর্ঘ ২৫ বছর পর অসংরক্ষিত ক্যাটিগোরির ছিল। ২০১৮ সালেও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদের দাবিদার হয়েও পাইনি। এবারও আত্মত্যাগ করলাম। এর বেশি আর কিছু বলার নেই।’ গোবিনের বক্তব্য, ‘প্রার্থী তালিকায় আমার নাম ছিল। যদিও পরে দলের তরফে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়। এর কারণ জানা নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করেছি। আমাদের প্রার্থীরা ব্লকের সব আসনে যাতে জেতে সেজন্য ঝাঁপিয়ে পড়ব।’
উল্লেখ্য, গোবিন এলাকায় ‘দাবাং’ নেতা হিসেবে পরিচিত। কাজি পান্ডেও দক্ষ সংগঠক হিসেবে সুবিদিত। দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক পদ সামলাচ্ছেন। দুই নেতারই টিকিট প্রাপ্তি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। এবারে তৃণমূলের ভোট বাক্সে এর কোনও প্রভাব পড়ে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।