দিনহাটা: পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কোচবিহার জেলায়। সে নিয়ে অভিযোগ জানাতে এবং নির্বিঘ্নে ভোটপ্রক্রিয়ার দাবি জানিয়ে কোচবিহারে রাজ্যপালের দরবারে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার আগে তিনি বলেন, ‘জেলাজুড়ে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গজুড়ে যেভাবে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলব। পাশাপাশি ভোট যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় তা নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলব।’
ভোটের পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল যেভাবে এখানের পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেছে অন্তত ভোটের পরবর্তী এক মাস এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা দরকার।’ পাশাপাশি এদিন পুলিশ প্রশাসনের একাংশকেও বিঁধলেন তিনি। যদিও তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিন মন্ত্রী ছাড়াও সেখানে রয়েছেন বিজেপির ৫ বিধায়ক। তাঁরা তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান। শনিবার সকাল থেকে কোচবিহারের সার্কিট হাউসের সামনে ভিড় সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের যেসব এলাকা হিংসায় ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তার মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাঙড় যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে কোচবিহারের দিনহাটা। খুন, জখম, রাজনৈতিক সংঘর্ষ এখানে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গ সফরের শুরুতেই রাজ্যপালের কোচবিহার যাওয়ার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু আবহাওয়া জনিত কারণে সেই কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেওয়া হয়। তারপর গতকাল কালিম্পং থেকে ফেরার পথে রাজ্যপাল সরাসরি কোচবিহার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কোচবিহারে পৌঁছেই সাংবাদিক বৈঠক করেন সি ভি আনন্দ বোস। বলেন যে কেউ তাঁর গাড়ি থামিয়ে তাঁকে অভিযোগ জানাতে পারেন। কোনভাবেই হিংসা বরদাস্ত নয় বলে জানিয়ে দেন তিনি। সেইমতো এদিন বিরোধীরা তাঁদের অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছেন। কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার কথা রাজ্যপালের। দেখা করতে পারেন রাজনৈতিক হিংসায় জখম বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। এরপর দিনহাটায় যাওয়ার কথা তাঁর।