চাঁচল: পঞ্চায়েত নির্বাচন দোড়গোড়ায়। গ্রাম দখলের লড়াইয়ে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। চলছে অন্তিম মুহূর্তের প্রচার পর্ব। তারই মাঝে চাঁচলে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। দল ছাড়লেন অলিহন্ডা অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি বর্ষীয়ান নেতা ইয়াসিন আলি, তাঁর স্ত্রী চাঁচল ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ রোসনারা বিবি সহ প্রায় দুই শতাধিক কংগ্রেস কর্মী। মালদা জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তথা ১৩ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের তৃণমূল প্রার্থী এটিএম রফিকুল হোসেনের নেতৃত্বে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা।
চাঁচলে নিজেদের গড় পুনরুদ্ধারে এই মুহূর্তে মরিয়া কংগ্রেস। চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি আসনেই সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করছে তারা। অলিহন্ডা অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি ইয়াসিন আলি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত। ওই অঞ্চলের রাজনীতিতে অন্যতম পুরোনো মুখ। তাঁর ওপর নির্ভর করেই ওই অঞ্চলে নির্বাচনের রণনীতি সাজিয়েছিল কংগ্রেস। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রোশনারা বিবিও চাঁচলের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া নেত্রী। মহিলা কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে টানা ১৫ বছর জিতেছেন। ভোটের মুখে তাদের দলত্যাগ কি প্রভাব ফেলবে কংগ্রেসের লড়াইয়ে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
যোগদানকারীদের মূল অভিযোগ, কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্ব দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অঞ্চল সভাপতির সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। রোশনারা বিবিও টিকিট পাননি এই ভোটে। ক্রমশ তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন দলে। তাই ভোটের আগে অনুগামীদের নিয়ে দলত্যাগ করলেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই যোগদান পঞ্চায়েত লড়াইয়ে তাদের আরও অক্সিজেন জোগাবে। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দলত্যাগ করেছেন তাঁরা। তাঁর সঙ্গে কোনও কর্মী নেই। এই যোগদানে কোনওরকম প্রভাব পড়বে না।