চাঁচল: পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক দিলেন চাঁচলের থানাপাড়ার বাসিন্দারা। ভোট বয়কটের পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে এলাকা। বিভিন্ন বাড়ির সামনে লাগানো হয়েছে বড় বড় ব্যানার। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে হয়নি কোনও উন্নয়নমূলক কাজ। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে থানাপাড়া বুথ থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার রাস্তা কাঁচা, নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল, জ্বলে না পথবাতিও। পঞ্চায়েত সদস্য এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যার সমাধানে তেমন কোনও উদ্যোগ নেননি। এমনকি পঞ্চায়েত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। সেকারণেই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয়রা। এই ইস্যুতে শনিবার সকালে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। যদিও বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানকারী ওই পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, এলাকায় যথেষ্ট কাজ হয়েছে।
থানাপাড়ার গৃহবধূ গঙ্গা দাস পোদ্দার অভিযোগ করে বলেন, ‘গতবার বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য। পাঁচ বছর শুধু ক্ষমতায় থেকেছেন। মানুষের খোঁজ নেননি। তাই এবার ভোট বয়কটের পথে হেঁটেছি।’
বিক্ষোভকারী সুদীপ্ত দাসের বক্তব্য, ‘ভোট দেওয়ার পরও যখন আমাদের কাজ হচ্ছে না তখন আর ভোট দিয়ে কী করব।’ যদিও বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য বিপ্লব মণ্ডলের সাফাই, ‘আমি বিগত পাঁচ বছরে অনেক কাজ করেছি বুথের জন্য। কিছু সমস্যা হয়তো থেকে গিয়েছে।’
থানাপাড়া বুথের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা হালদার সরকার বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। তবে মানুষ আমাকে সুযোগ দিলে আমি সমস্যার সমাধান করব।’