উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নিজের দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ভগবানগোলার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। সেটি এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইদ্রিশ আলী দাবি করে বলেন, ‘ফেলো কড়ি, পাও পঞ্চায়েতের পদ’ নীতি চলছে দলে। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের পদ বিলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমন মন্তব্যের পরই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধায়কের আরও বক্তব্য, ‘৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই পঞ্চায়েতের পদ।‘ ভগবানগোলা-২ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইদ্রিশ আলি। টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত সভাপতির নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগও তুললেন তিনি। ইদ্রিশ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর একটু সময় দিলে এসব বন্ধ করা যেতে পারত।’ দলের তরফে এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
সংবাদমাধ্যমে ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘দলের উপরতলা থেকে নাম আসে। বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি মিলে আমরা নাম ঠিক করে দিই কে কোন পদ পাবেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল, কর্মাধক্ষ্যের নাম বদলে গিয়েছে। অভিযোগ আসছে, এসব টাকার বিনিময়ে হচ্ছে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া পদক্ষেপ করছেন। দোষীদের শাস্তি হচ্ছে, প্রধানদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি যারা এভাবে পদ পেয়েছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া দরকার।‘
অন্যদিকে, এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘উনি কোন প্রেক্ষিতে ওইসব কথা বলেছেন তা জানি না। কিন্তু এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার নয়। এটা বিজেপির কালচার। অর্থের বিনিময়ে কাউকে টিকিট দেওয়া বা পদ দেওয়া এটা তৃণমূলে হয় না।’ বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তৃণমূল ওঁকে গ্রহণ করেছে। হয়তো কোনও কারণে একটু রাগ হয়েছে। তাই এসব বলেছেন। একটা সত্য সামনে এসেছে।’