প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বুধবার তিনি লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন না। ব্যস্ত ছিলেন নির্বাচনী কেন্দ্র মহীশূরে। ততক্ষণে অবশ্য তিনি অজান্তেই উঠে এসেছেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার পাসেই লোকসভায় স্মোক বম্ব নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন দুই আগন্তুক, সাগর শর্মা এবং ডি মনোরঞ্জন। এর পরেই কার্যত বিরোধী শিবিরের কাছে চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন প্রতাপ। তাঁর বহিষ্কার এবং গ্রেপ্তারির দাবিতে এদিন উত্তাল হয় সংসদ চত্বর। বৃহস্পতিবার গুটিকয়েক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতাপ বলেছেন, ‘যা গতকাল ঘটেছে, তাতে সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারিনি। এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত, তীব্র নিন্দনীয়। কিন্তু যেভাবে আমায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে সেটা মেনে নিতে পারছি না।’
এদিন প্রতাপ সিমহা বলেছেন, ‘কমবেশি সবাই আমরা পাস ইস্যু করে থাকি। কোনও অধিবেশন চলাকালীন সাংসদের আত্মীয়স্বজন বা নির্বাচনী কেন্দ্রের লোকজন সংসদ দেখার অনুরোধ আকছারই করে থাকেন। কিন্তু কার মনে কী অভিসন্ধি তা জানা সম্ভব নয়, যেমন ওই দুই ব্যক্তি আসলে কী করতে চাইছেন তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।’ প্রতাপের দাবি, ‘অধিবেশনের সময় যে সমস্ত সাংসদ পাস ইস্যু করে থাকেন, তাঁরা সেই পাসগ্রহীতার ১০ শতাংশ মানুষকে চেনেন কি, ক্ষমতা থাকলে অবশ্যই প্রকাশ্যে তা বলুন। একজনও যদি বলতে পারেন, আমি নিজেই পদত্যাগ করব।’
প্রতাপ সিমহার দাবি, অভিযুক্ত সাগর শর্মার বাবা তাঁর পরিচিত। সাগর তাঁরই লোকসভা এলাকা মহীশূরের বাসিন্দা। আর সেজন্যই তিনি পাস ইস্যু করেছিলেন। কিন্তু তার ফল এই হবে তা ভাবতেও পারেননি। প্রসঙ্গত, সংসদ ভবনে হাজির হলেও দলীয় নেতৃত্বের পরামর্শে বৃহস্পতিবার লোকসভায় পা রাখেননি প্রতাপ। দল তাঁর পাশে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন মহীশূরের বিজেপি সাংসদ।