রায়গঞ্জ: ফরাক্কার বল্লালপুরে গভীররাতে একটি বালি ভর্তি লরির মুখোমুখি হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। তবে ট্রেনের চালকের বুদ্ধি ও দক্ষতার জেরে বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। ইঞ্জিনে আগুন ধরলেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের চেষ্টায় ইঞ্জিনটি স্বাভাবিক হয় এবং সকাল ৬ টা নাগাদ ফারাক্কা থেকে স্পেশাল ট্রেনটি রওনা দেয়। আজিমগঞ্জ হয়ে ঘুরে মালদা এসে এরপর রায়গঞ্জের দিকে রওনা দেয় ট্রেনটি। অনেক যাত্রী বাসে করেই ফরাক্কা থেকেই রওনা দিয়েছিলেন। তবে ট্রেনে রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু যাত্রী ছিল। তাদের নিয়ে রওনা দেয় চালক। রায়গঞ্জ স্টেশনে ট্রেনটি বিকেল ৪.২৫ নাগাদ পৌঁছায়। এদিন ট্রেন পৌঁছাতেই পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনকে দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। বন্দরের বাসিন্দা গোপাল প্রসাদ জানান, তাঁর ভাই, ভাই বৌ সহ পাঁচজন রাধিকাপুর ট্রেনে আসছিল। রাত দেড়টা নাগাদ ভাই ফোন করে জানায় তাদের ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। এরপর খোঁজ খবর নিতে থাকি। যদিও হতাহতের ঘটনা না ঘটায় কিছুটা নিশ্চিত ছিলাম। ওই ট্রেনে তারা ফিরছে শুনেই অপেক্ষা করছিলাম। সবাই সুস্থ ভাবে ফেরায় ভালো লাগছে।
ট্রেন যাত্রী বাবলি সাহা বলেন, ‘রাত ১ টা ২১ নাগাদ বিকট আওয়াজ পেয়েই লাফিয়ে উঠি আমরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ট্রেন থেকে নেমে দেখি ইঞ্জিনে আগুন জ্বলছে। সারা রাত জেগেছিলাম। তবে রেল দপ্তর আমাদের যথেষ্ট ভালো পরিষেবা দিয়েছে। রায়গঞ্জে ফিরে আসার পর ভালো লাগছে।’ তনুশ্রী দত্ত নামে আরেক যাত্রী জানান, ‘রাতে সবাই আমরা ঘুমের মধ্যে ছিলাম, হঠাৎ করে জোরে ঝাঁকুনি হল, তাতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ইঞ্জিনে আগুন দেখে আরও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে যথেষ্ট পরিষেবা দিয়েছে রেল।’ এদিন স্টেশনে পৌঁছানো মাত্র যাত্রীদের মুখে হাসি দেখা যায়। রাধারাণী সাহা নামে এক যাত্রী নবদ্বীপ থেকে ফিরছিলেন এই ট্রেনে। তিনি জানান, প্রথমে খুব ভয় লাগছিল। তবে চালক আমাদের বাঁচিয়েছে।’ এদিন রায়গঞ্জ থেকে বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ রাধিকাপুরের উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। রায়গঞ্জ স্টেশন ম্যানেজার রাজু কুমার জানান, আজ কলকাতাগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাতিল করা হয়েছে।