হরিশ্চন্দ্রপুর: সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। স্থানীয় বিতল গ্রামের এক মহিলার অভিযোগ ছিল স্থানীয় এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এনিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করতেই বিতর্ক আরও বাড়ে। মহিলার দাবি, ওই সন্তান অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর। এদিন ওই ব্যক্তির বাড়ির সামনে তাঁর সন্তানকে রেখে যান মহিলা। যা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতককে উদ্ধার করে তারা হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। যদিও ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী পলাতক বলেই জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিচারিকার স্বামী প্রায় দুই বছর ধরে ভিনরাজ্যে কর্মরত। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে এলাকারই এক অবসরপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত কর্মী তৈমুর রহমানের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। তাঁর দারিদ্রতার সুযোগকে হাতিয়ার করে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তৈমুর মহিলার সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্কে জড়ায় বলে অভিযোগ। এর জেরে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সেইসময় তৈমুর তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এমনকি তাঁর গর্ভপাত করানোরও চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত। এদিন নিজের সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে তৈমুরের বাড়ির সামনে রেখে আসার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।