মালবাজার: মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অন্তর্বিভাগে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। মৃতের পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টের ঘরে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ প্রশাসনিক স্তরে দায়ের হয়নি।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সোনালী খালকো (২৪)। বাড়ি বানারহাট ব্লকের চুনাভাটি চা বাগানের উপর লাইনে। গত ৩১ জুলাই গর্ভবতী অবস্থায় তাঁকে মাল বাজারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ১ অগাস্ট তাঁর কন্যাসন্তান প্রসবও হয়। সন্তান সুস্থ ছিল। তবে পরিবারের অভিযোগ, অপারেশনের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর বুধবার রাতে হাসপাতালেই তিনি মারা যান তিনি। মৃতার স্বামী রূপলাল ওরাওঁ বলেন, ‘অপারেশনের পর আমাদের রক্ত আনতে বলা হয়। আবার ফের অপারেশনের কথাও বলা হয়। চিকিৎসা গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটল।‘ এদিন সকাল থেকেই হাসপাতালে ভিড় করেন বিক্ষোভ দেখান মৃতার আত্মীয় স্বজনরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপা, মহকুমা শাসক করণের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রথীন্দ্রনাথ সরকার সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের ব্যক্তিরা ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
মালবাজারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা: প্রিয়াংকু জানা বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে জমা দেওয়া হয়নি। ওই রোগীকে সর্বতো চিকিৎসা পরিষেবাই দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসা গাফিলতির কোনও প্রশ্নই নেই। গর্ভবতী মহিলা বানারহাট হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে এসেছিলেন। একটি বিরল রোগে আক্রান্তও ছিলেন। প্রসবের পরে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা প্রক্রিয়া জারি ছিল। শিশুকে বাঁচানো গেলেও মাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’
অন্যদিকে পরে পরিস্থিতি আলোচনার মাধ্যমে মিটেছে। কোনও রূপ লিখিত অভিযোগই এখনও পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা পরে মৃতদেহ তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান।