উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শক্তি পরীক্ষার প্রথম রাউন্ডে কাকা শরদ পাওয়ারকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিলেন ভাইপো অজিত পাওয়ার। বুধবার মুম্বইতে শক্তি পরীক্ষায় বৈঠকের ডাক দিয়েছিল এনসিপির যুযুধান দুই শিবির। কোন শিবিরে কত বিধায়ক উপস্থিত থাকেন সেই দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। বৈঠকের আগে আবেগ উসকে দিয়েছিলেন শরদকন্যা সুপ্রিয়া সুলে। ৮৩ বছরের প্রবীণ যোদ্ধা লড়বেন বলে জানান তিনি। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুয়ায়ী, অজিতের ডাকা বৈঠকে ২৯ জন বিধায়ক হাজির ছিলেন। সেই সঙ্গে হাজির ছিলেন বেশ কয়েকজন বিধান পরিষদের সদস্যও। তবে অজিত শিবির সূত্রের দাবি, আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক তাঁদের সমর্থন করবেন। সংখ্যাটা ৪০ বলে এনসিপির অজিত পাওয়ার শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই আজকের বৈঠকে ছিলেন না।
অন্যদিকে, শরদ পাওয়ারের ডাকা বৈঠকে এদিন হাজির ছিলেন ১৭ জন বিধায়ক, পাঁচজন সাংসদ এবং কয়েকজন এমএলসি। সংখ্যাটা অবশ্যই অজিত পাওয়ার শিবিরের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে আগামীদিনে এই সংখ্যাটা বাড়বে বলে দাবি শরদ শিবিরের। শরদ শিবিরের অভিযোগ, অজিত পাওয়ার দলের বিধায়কদের ফোন করে বুঝিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে না গেলে তাঁদের বিধানসভা কেন্দ্রের উন্নয়নের কাজ আটকে যাবে। দলের বিধায়কদের ধরে রাখার ব্যাপারে কিছুটা দোলাচলে রয়েছে অজিত পাওয়ার শিবিরও। এদিনের বৈঠক শেষে নিজের শিবিরের বিধায়কদের একটি হোটেলে বন্দি করে ফেলেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। তবে বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে কাকা শরদ পাওয়ারকে টেক্কা দিলেও কিছুটা অস্বস্তি কাজ করছে অজিত পাওয়ার শিবিরে। দলের প্রতীক এবং নাম নিজের দখলে রাখতে অন্তত ৩৬ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। এখনও সেই সংখ্যায় তাঁরা পৌঁছোতে পারেননি।