রায়গঞ্জ: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোড়দার প্রচারে নেমে পড়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে টিকিট বণ্টন নিয়ে কৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দল ছেড়েছেন অনেকেই। রবিবার বাহিন অঞ্চলে মতুয়া মহাসংঘের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করতেই আবার বিতর্ক শুরু হয়। পুজো শুরুর আগে বিধায়কের পা ধুয়ে দিচ্ছেন মতুয়া মহাসংঘের এক ভক্ত। এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জাতপাতের অবসান ঘটাতে মতুয়া মহাসংঘের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের অবদান অবিস্মরণীয়। সেখানে একজন বিধায়কের পা ধুইয়ে দিচ্ছেন মতুয়া মহাসংঘের একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। উনি তো মতুয়া সমাজের সদস্য নন। তা সত্বেও বিধায়ক এই কাজে বাধা দিলেন না? তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য অন্য কোনও পদ্ধতির কথা বলতে পারতেন। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘বিধায়ক কি মতুয়া সমাজের সদস্য? উনি কি ধর্মগুরু? মতুয়া সমাজের রীতি আছে। সেই সমাজের যে গুরুদেব আছেন, তাঁদের পা ধুইয়ে সম্মান জানানো হয়। উনি কি ওনাদের গুরু? তাঁকে পা ধুইয়ে দিতে হবে? উনি মতুয়া সমাজকে অপমান করলেন।’ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য উত্তম পাল বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে আঘাত দিয়ে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে একেবারে বিরোধী আমরা। একজন বয়স্ক মানুষ যেভাবে বিধায়কের পা ধুইয়ে দিচ্ছেন, ছবি দেখে ভালো লাগেনি। বিধায়ক মানে কি সর্বেসর্বা?’ যদিও বিধায়কের দাবি, ‘আমি কাউকে অপমান করিনি। মন্দির কর্তৃপক্ষ নিজেদের সংস্কার মেনে আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। বিজেপি অহেতুক তা নিয়ে রাজনীতি করছে।’