ফাঁসিদেওয়া: পথশ্রী প্রকল্পে ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে ফাঁসিদেওয়ার বন্দরগছ এলাকায়। কিন্তু কাজ নিম্নমানের হচ্ছে, এই অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা শিডিউল না মেনে রাস্তার কাজের অভিযোগ তোলেন। এরপরই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।
পথশ্রী প্রকল্পে বণিক পাড়া থেকে ফাঁসিদেওয়া কালিমন্দির পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার পাকা রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। সেই রাস্তা নির্মাণ নিয়েই নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। এদিন গ্রামবাসীর একাংশ এই অভিযোগ তুলে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করতে যান। পরে ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী পলি সাহা ঘটনাস্থলে গেলে বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বচসা বেধে যায়।
পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী পলি সাহার মন্তব্য, ‘কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না। তাই, আমরা বন্ধ রাখতে বলেছি। ঠিকাদারকে ফোন করা হয়েছে। তিনি এলে আমরা বসে সমস্ত কিছু বুঝে নেব। কিন্তু তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মিলি দে এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি চন্দনকুমার রায় কাজ বন্ধ রাখেননি। আমরা কাজ ভালো চাই। গ্রামের মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্য ভালো কাজ চাচ্ছেন না।’
অন্যদিকে, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মিলি দে’র দাবি, ‘বিরোধী বিজেপি নেতৃত্ব বারবার এসে কাজ বন্ধ করছেন। গ্রামবাসীদের কোনও সমস্যা নেই, তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই। আমরা শিডিউল বুঝেই কাজ করাচ্ছি।’
এনিয়ে বিজেপির ফাঁসিদেওয়া মণ্ডল সভানেত্রী বিশ্বদীপা ঘাটানির বক্তব্য, ‘কাটা পাথর দিয়ে রাস্তার কাজ করার কথা। কিন্তু তা না করে গোটা পাথর দেওয়া হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারকে আমরা বিষয়টি জানালে, তিনি কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। তা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কাজ বন্ধ করতে দিচ্ছেন না। গ্রামবাসীও নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন। আমাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। ভালো কাজ বুঝে নেব। নাহলে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ থাকবে।’
এনিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি চন্দনকুমার রায় বলেছেন, ‘যে অভিযোগ এসেছে তা আমরা ঠিকাদার সংস্থাকে জানিয়েছি। কাটা পাথর ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। শিডিউল মেনেই কাজ করতে বলা হয়েছে।’