উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শাসকদলের সঙ্গে রাজ্যপাল তথা আচার্যের সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। একদিকে, শিক্ষা দপ্তরকে না জানিয়ে রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অন্যদিকে, রাজ্যের তৈরি নতুন সার্চ কমিটি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্য কমিটিতে যে রদবদল এনেছে রাজ্য সরকার, তা নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। বুধবার রাজ্যের পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শুনানি হবে বলে খবর। পাঁচজন সদস্যের মধ্যে রাজ্যের তিনজন প্রতিনিধি কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিকে। তাঁর পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
আগে উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটিতে থাকতেন তিন সদস্য। এখন নিয়ম বদলে পাঁচ সদস্য করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাঁচজন কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন, ইউজিসি-র একজন প্রতিনিধি, রাজ্যপালের প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ও মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি। সার্চ কমিটিতে রাজ্যের তিনজন প্রতিনিধি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইউজিসি-র চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে সার্চ কমিটিতে। ফলে সদস্য সংখ্যা ৩ থেকে বেড়ে ৪ হয়ে যাচ্ছিল। কোনও নির্বাচন কমিটিতেই জোড় সংখ্যক সদস্য সংখ্যা থাকা বাঞ্ছনীয় নয় বলে দাবি করেছিলেন ব্রাত্য। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে।