উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কোমরে পিস্তল গুঁজে স্কুলে এসেছিল এক দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। দেখে ফেলে নবম শ্রেণীর এক ছাত্র। সেই ছাত্রকে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেয় দ্বাদশের সেই দাদা। এই ঘটনা সামনে আসতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অবিভাবকরা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলে। অভিযুক্ত ছাত্রকে সাসপেন্ড করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পড়ুয়াদের মধ্যে কি বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা? রাজ্যে পরপর বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরে বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে শহরজুড়ে। গত মাসেই কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে স্কুলেরই ওপর ক্লাসের দাদাদের হাতে খুন হয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। এবার সেই কৃষ্ণনগর থেকেই এল নৃশংস ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। শিক্ষক দিবসের দিন কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের মুখে সিগারেট গুঁজে তাঁকে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। এবার সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল স্কুলের শৌচাগারে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো।
র্যাগিং-এর রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার ঘটে আরও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নবম শ্রেণির এক ছাত্র শৌচাগারে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের কোমরে পিস্তল গোঁজা দেখতে পায়। এর পর দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র পিস্তল দেখিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শুক্রবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে ছাত্র কোমরে বন্দুক গুঁজে আসছে। আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা কোথায়? এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ বিশ্বাস জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।