সামসী: মঙ্গলবার রাতে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় নিহত হন মালদার মালতিপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার মমিনুল হক। এই ঘটনায় পুলিশকেই দায়ি করেছে মৃতের পরিবার। মৃত মমিনুলের বাবা হাসান আলি বলেন, ‘পুলিশ যদি আমার ছেলেকে ফোন করে ডাকাতদলকে ধরতে না বলত তাহলে ডাকাতদের গুলি ও বোমার ঘায়ে মরতে হত না। একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কি করে ডাকাত ধরতে পারে? তাদের কি সে ধরনের প্রশিক্ষণ ও কোনও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি রয়েছে? এদিকে রাত পোহালেই পবিত্র ইদ উল আযহা বা কুরবানীর ইদ। তবে বাড়ির ছোট ছেলের মৃত্যুতে ইদ নিয়ে কারও কোনও উৎসাহ নেই। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ময়নাতদন্তের পর ছেলের নিথর দেহ ফেরে বাড়িতে। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গ্রামের কবরস্থানে মমিনুলকে কবরস্থ করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে মালতীপুরের একটি সোনার দোকানে। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কাশিমপুর মোমিনপাড়া এলাকায় ডাকাতদলকে ধরতে গিয়ে তাদের ছোড়া বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মমিনুল। অকালে ছেলেকে হারিয়ে চরমভাবে দিশেহারা বাবা-মা। মৃত মমিনুলের মা তহমিনা বিবি ছেলের মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েছেন। এদিকে, খবর পেয়ে মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে যান মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি। তিনি মমিনুলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।