দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বাবার পারলৌকিক কাজের একদিন আগেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় কানকি ফাঁড়ির পুলিশ। প্রথমে তাঁকে চাকুলিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার বিজেপি নেতাকে ইসলামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৭ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
এদিকে, বাবার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন না হতেই এভাবে একজন বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। চাকুলিয়ার মণ্ডল সভাপতি অমিত সিংহ দাবি করেন, ভোট গণনার একদিন আগে বিশ্বনাথের সঙ্গে তৃণমূল নেতা ভোলানাথ রায়ের বচসা হয়। গণনার দিন ভোলানাথ গণনাকেন্দ্রে জোর করে ঢুকতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ওঁকে মারধর করেন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিন পর বিশ্বনাথের সঙ্গে ভোলানাথের ফের কথা কাটাকাটি হতেই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে চাকুলিয়া থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরমধ্যে বিশ্বনাথের বাবা মারা যান। গতকাল ঘাটের কাজ শেষ হতেই রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তৃণমূল নেতাকে খুশি করতেই পুলিশ মিথ্যা মামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন অমিতবাবু। যদিও ভোলানাথ রায়ের দাবি, তাঁকে বিশ্বনাথ মারধর করেছেন বলেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, বিশ্বনাথের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চক্রান্ত করে গ্রেপ্তার করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।