রায়গঞ্জ: ছয় পুলিশ আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত মোটর কালিবাড়ি এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পালটা পুলিশ ওই মদ্যপ যুবককে মারধর করে কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই যুবককে বেলবন্ডে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে এত গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ওই যুবককে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হল সেই প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবক প্রভাবশালী বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তাই প্রাথমিকভাবে পুলিশ মার খেয়ে মার হজম করে নেয়। কিন্তু পরে তাকে ধরে থানায় নিয়ে এলেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়া ফাঁড়ির অন্তর্গত মসজিদ পাড়ার ২ যুবক মদ্যপ অবস্থায় বাইক নিয়ে চায়ের দোকানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে পুলিশ নাকা চেকিংয়ে ব্যস্ত ছিল। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে ওই যুবক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে পুলিশ প্রতিবাদ করে। এরপরই যাবতীয় গন্ডগোলের সূত্রপাত। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার সুমন তামাংকে মারধর করে হাতের দুটি আঙ্গুল মচকে দেয় অভিযুক্ত। বাকি পুলিশকর্মীদেরও মারধর শুরু করে। এরপর পুলিশ পালটা অভিযুক্তকে মারধর দিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে। বাজেয়াপ্ত করা হয় সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, এক পুরিয়া ব্রাউন সুগার, দুই গ্রাম গাঁজা। রাতভর অভিযুক্তকে বসিয়ে রাখা হয় কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে। যদিও ঘটনাস্থলে থাকা অপর এক মদ্যপ যুবক বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের তরফে লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই এই ঘটনায় কোনও মামলা হয়নি। ভবিষ্যতে এইরকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেই কথা অভিযুক্ত লিখিত দিয়েছেন। পুলিশের তরফে অভিযুক্ত যুবকসহ দুজনের নাম জানানো হয়নি। পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আক্তার বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।