শিলিগুড়ি: ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা সুভাষপল্লির শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তের ছবি নিয়ে ঘুরলেও কোনও দিশা খুঁজে পেল না পুলিশ। আদৌ সে শহরে রয়েছে কি না, সেটাও স্পষ্ট নয়।
এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রথম থেকেই ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে খুব একটা তৎপরতা নজরে পড়েনি। বিক্ষোভ-আন্দোলনের চাপে পড়ে শেষমেশ ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টা পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মেট্রোপলিটান পুলিশের এডিসিপি সুভেন্দ্র কুমার অবশ্য বলেছেন, ‘তদন্ত চলছে।’
ওই তরুণের নাগাল পেতে সাদা পোশাকের পুলিশও সক্রিয় হয়েছে। পাব, বার, মলের মতো জনবহুল জায়গাগুলোতেও বিশেষ করে উইনার্স টিম বিশেষ নজর দিচ্ছে। নজরদারির পাশাপাশি ছবি নিয়ে চলছে ওই তরুণের খোঁজ।
পুলিশের একটা সূত্র আবার মনে করছে, ওই তরুণ এই শহরের নয়। তাদের যুক্তি হল, শহর শিলিগুড়ির পরিবেশ এধরনের নয়। তাই এধরনের মানসিকতা শহরের কোনও মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া অনেকটাই অবাক করা ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ওই তরুণ যেভাবে শ্লীলতাহানি করার পর হাসতে হাসতে রীতিমতো বুক ফুলিয়ে হেঁটে চলে গেল, তাতে করে ওই তরুণের কাছে এলাকাটা খুবই পরিচিত বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই তরুণের চোখে-মুখে অপরাধমূলক কাজ করার ভয়ের কোনও প্রতিচ্ছবি বিন্দুমাত্র নজরে পড়েনি। সেক্ষেত্রে ওই তরুণের সঙ্গে প্রভাবশালী কোনও সূত্রের যোগ নেই তো? এই প্রশ্ন ওঠাটাও বাস্তবিক, মনে করছেন অনেকে।
যদিও এলাকায় বিশেষ পরিচিতদের ধরেই ওই তরুণের সন্ধান পেতে চাইছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওই বিশেষ পরিচিতদের থানায় ডেকে ওই তরুণের ছবি দেখানোর পাশাপাশি ছবিও দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাতে ওই বিশেষ পরিচিতরা তাঁদের চেনা-পরিচিতদের ছবি দেখিয়ে তরুণের খোঁজ দিতে পারেন। তবে সিসিটিভি ফুটেজে ওই তরুণ চিহ্নিত হওয়ায়, ওইরকম দেখতে কোনও তরুণ অপরাধ তালিকায় রয়েছে কি না, সেব্যাপারটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও যদিও ওই ধরনের দেখতে কোনও তরুণের খোঁজ পায়নি পুলিশ। সেক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় কোনও ধরনের ভয় ছাড়াই হঠাৎ করে এধরনের অপরাধমূলক চিন্তাভাবনা বাস্তবায়নের শক্তি ওই তরুণ কী করে পেল, তা ভাবাচ্ছে পুলিশকেও।