উত্তরবঙ্গ সাংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমরা চুরি করিনি। পুলিশ মিথ্যে মামলায় জেলে পাঠিয়েছে।’ মঙ্গলবার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এমনটাই জানালেন মালদার দুই নির্যাতিতার একজন। প্রসঙ্গত, মালদার বামনগোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে চুরির অভিযোগে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। যে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়। এই নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এদিকে এই ঘটনায় নির্যাতিতাদেরই নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরের মামলা দিয়ে পুলিশ জেলে পাঠায় বলে অভিযোগ। সোমবার বিকেলে তাঁদের জামিন দেন মালদা জেলা আদালতের বিচারক মৃণালকান্তি মণ্ডল। তবে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় গতকাল রাতে জেলেই কাটাতে হয় দু’জনকে।
এদিন সকালে জেল থেকে বেরোনোর সময় তাঁরা জানান, তাঁরা চুরি করেননি। পাকুয়াহাটে মাছ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। তখন এক মিষ্টির দোকানদার তাঁদের চুরির অপবাদ দেয়। এরপরই উত্তেজিত জনতা মারধর শুরু করে। জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তাঁরা। নির্যাতিতাদের একজন জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে জামিন পেলেও আতঙ্কে রয়েছেন দু’জন। জানা গিয়েছে, অজ্ঞাতস্থানে চলে গিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, দুই নির্যাতিতাকেই জেলে পুরে দেওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বিষয়টিকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়ে বিজেপি। একদিকে বিবস্ত্র করে অত্যাচারের অভিযোগে সময়মতো তদন্ত শুরু না করা অন্যদিকে দুই নির্যাতিতা মহিলাকে গ্রেপ্তার করায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় পুলিশকে। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশ বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা শুরু করেছে। গ্রেপ্তার করেছে পাঁচ অভিযুক্তকে।