সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের জন্য প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের তরফে রাস্তাঘাটে পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার লাগানো হয়েছিল। লেখা হয়েছিল দেওয়ালেও। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে শুক্রবার নির্বাচন(Lok Sabha Election) পর্ব মিটে গিয়েছে। কিন্তু শিলিগুড়ি(Siliguri) শহরে পতাকা, ফেস্টুন কিংবা ব্যানারগুলি আগের অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির তরফে সেগুলি খোলার ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।
তৃণমূল, বিজেপি কিংবা কংগ্রেসের মতো দলের তরফে এই প্রচার সামগ্রী বেশি লাগানো হয়েছিল। দলীয় কর্মীরা শহরের প্রধান রাস্তা কিংবা পাড়ায় প্রার্থীর প্রচারে ফেস্টুন, ব্যানার, দলীয় পতাকা লাগিয়েছিলেন। কিছু ক্ষেত্রে আবার বেসরকারি সংস্থাকে দিয়েও সেগুলি লাগানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা কমিটির মুখপাত্র বেদব্রত দত্তর বক্তব্য, ‘এবারের ভোটের প্রচারে নজরদারির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অনেক বেশি সক্রিয় ছিল। সে কারণে শহরের প্রাণকেন্দ্রগুলির পাশাপাশি প্রধান রাস্তাগুলোতে আগেই পতাকা, ফেস্টুন খোলা হয়েছে। পাড়ার ভেতর অবশ্য এখনও সেগুলো লাগানো রয়েছে। যাতে দ্রুত খুলে নেওয়া হয়, সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ড, অঞ্চল এবং ব্লক কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’
কংগ্রেসের তরফে আবার আগামী নির্বাচনে যাতে দলীয় পতাকা ব্যবহার করা হয়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শংকর মালাকারের বক্তব্য, ‘পতাকা, ফেস্টুন লাগানোর জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই সংস্থা যাতে প্রচারের স্বার্থে লাগানো সমস্ত পতাকা, ফেস্টুন দ্রুত খুলে নেয়, সেই কথা আমরা বলে দিচ্ছি।’
এখনও শহরের প্রধান রাস্তাগুলির পাশে বিভিন্ন দলের পতাকা চোখে পড়ছে। হিলকার্ট রোড, সেবক রোডেই এই ছবি চোখে পড়েছে। তবে তার তুলনায় পাড়ায় পাড়ায় অনেক বেশি পরিমাণে পতাকা, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে এবার। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার বাসিন্দা গৌতম তরফদারের কথায়, ‘এই পতাকা, ফেস্টুন দেখলে রাজনৈতিক কচকচানি বাড়ে। ভোট যখন শেষ তখন এগুলো খুলে ফেলা দরকার। এতে দৃশ্য দূষণ কমে।’ একই কথা বললেন শহরবাসী শৈলেন দাসও। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল জানান, তাঁদের দলীয় কর্মীদের পতাকা, ফেস্টুন খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশমতো কর্মীরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন।