শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সেবক রোড। দৈনিক এই পথে হাজার হাজার নিত্য পথচারীর পাশাপাশি যাতায়াত বহু পর্যটকের। চলে ছোট-বড় বহু গাড়িও। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই রাস্তাটি ডুবে যায় ঘন অন্ধকারে। কারণ, বেহাল পথবাতি। কোনও বাতিস্তম্ভের পোল হেলে পড়েছে। কোনও কোনও পোলের দু’দিকের বাতির অংশ বিপজ্জনকভাবে ঝুলে পড়েছে। বলা বাহুল্য প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে শহরের হার্টলাইনের এমন হাল হওয়ায় অন্য জায়গার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পানিট্যাঙ্কি মোড় থেকে চেকপোস্ট পার করেও রাস্তার ডিভাইডারে থাকা পথবাতিগুলির অধিকাংশই বিকল হয়ে থাকায় সমস্যায় পড়ছেন পথচারী সহ সাধারণ মানুষ। এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘ডিভাইডারের মাটিতে ইঁদুরের ব্যাপক উৎপাত সহ বৈদ্যুতিক লাইনের কিছু সমস্যা রয়েছে। একাধিকবার সংস্কার করা হয়েছে। তারপরও পথবাতিগুলি বিকল হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, প্রায় একই হাল শহরের স্টেশন ফিডার রোড, হিলকার্ট রোডেরও।
এসজেডিএ-র আওতাভুক্ত পথবাতিগুলির সমস্যা বহু পুরোনো। বহুদিন ধরে এগুলির অধিকাংশই বিকল। আলোর অভাবে সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট অন্ধকারে ডুবে যায়। এসজেডিএ একাধিকবার এগুলি সংস্কারের চেষ্টা করেছে। এমনকি, বেশকিছু পথবাতি বদল করা হয়েছে। এরপরও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে কোথাও যে ত্রুটি থেকেই যাচ্ছে, এই ঘটনায় তা স্পষ্ট। সম্প্রতি ওই রাস্তায় যেতেই নজরে পড়ল ইসকন মোড় থেকে চেকপোস্ট অবধি বেশকিছু বাতিস্তম্ভের উপরে থাকা দুই পাশের বাতির একাংশ বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে। স্বভাবতই সেখানে আলো জ্বলছে না। বিষয়টা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করছেন সেবক রোডের দুই পাশের দোকানদাররা। এ প্রসঙ্গে অমিত আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘বাতিস্তম্ভের উপরের অংশ যেভাবে ঝুলে রয়েছে, তাতে করে যে কোনও সময় সেটি ভেঙে পড়তে পারে। বহুদিন ধরেই ওগুলি এভাবেই ঝুলে রয়েছে। অথচ এসব দেখার মতো কেউ নেই।’ দোকানের সামনের মোড়ে এমনই এক বাতিস্তম্ভ নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনালেন আরেক দোকানদার ভবতোষ রায়। তিনি বাতিস্তম্ভটি দেখিয়ে বলেন, এগুলির উপরের ঝুলে পড়া অংশে স্বাভাবিকভাবে বাতি জ্বলে না। অন্যপাশের অংশে বাতি জ্বলছে। এভাবে থাকলে পোলটি ঘিরে সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।’
শুধু বাতিস্তম্ভের উপরে থাকা বাতিগুলির অংশ ঝুলে থাকা নয়, বেশকিছু পোলও হেলে গিয়েছে। স্বভাবতই সন্ধ্যার পর সেগুলির একাংশে বাতি জ্বলে না। ওই রাস্তা দিয়ে নিত্য যাতায়াতকারী অনিমেষ সরকারের কথায়, ‘সেবক রোড ধরে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রচুর পর্যটকও যাতায়াত করেন। তাই, বাতিগুলি এমনভাবে থাকা একেবারেই কাম্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।’ সবমিলিয়ে সেবক রোডে ডিভাইডার বরাবর থাকা পথবাতিগুলির একাংশের বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে দৈনিক সমস্যা বাড়ছে।