উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আদিবাসী সমাজের জন্য সাবধান বাণী শুভেন্দুর কন্ঠে। বুধবার আদিবাসী দিবসে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংবনীর সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ‘বিক্রি’ হয়ে গিয়েছেন কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো। আপনাদের টুপি পরানোর চেষ্টা করছেন। টুপি পরবেন না। আগে রাজেশকে ‘ক্রিমিনাল’ (অপরাধী) বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন সেই রাজেশের সঙ্গে সেলফি! আর রাজেশকেও বলিহারি। গিয়ে মমতার পায়ে পড়েছেন। তবে রাজেশ বিক্রি হতে পারে, কুড়মিরা বিক্রি হওয়ার লোক নয়।’
শুভেন্দু অধিকারীর সভা করা নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি মেলে শুভেন্দুর সভার ক্ষেত্রে। সভার অনুমতি প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘উনি শুধু একা সভা করবেন। পশ্চিমবঙ্গ যেন ওঁর একার। আপনারা না চিনলেও আমি পিসিকে হাড়ে হাড়ে চিনি। ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম। জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা খুঁজে পায়নি। কী ভাবে লালগড় যেতে হয় সেই রাস্তাটাও জানত না। ২০০৯ এ আমি রাস্তা চিনিয়েছিলাম।’ এদিন সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া লক্ষাধিক ভুয়ো এসসি-এসটি শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর বক্তব্যের পর রাজেশ মাহাতো বলেন, ‘মাইনলে (মানলে) শিব, নাহিলে (না হলে) পাথর। শিরদাঁড়া বিক্রি নাই’। পাশাপাশি তিনি এও জানান,‘কোনও রাজনৈতিক দলকে কুড়মি নির্দল প্রার্থীরা সহযোগিতা করবেন না। রাজনৈতিক দলগুলির উদারতা থাকলে তারা কুড়মি প্রার্থীদের সমর্থন করুক।’
উল্লেখ্য, তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা এবং রাজ্য প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাসদার গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় যে কুড়েমি নেতারা গ্রেপ্তার হন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজেশ মাহতো। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজেশ, এমনকি একসঙ্গে সেলফিও তোলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সদস্যদের মধ্যে বদলেছে সমীকরণ। তাই রাজেশের এই পরিবর্তনও নতুন কিছু নয় বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।