রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস ঘোষের পর মঙ্গলবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিতা টুডু বিজেপিতে যোগ দিলেন। এদিন রায়গঞ্জের শেরপুরে মুকুন্দপুর হাটখোলায় বিজেপির নির্বাচনি সভায় দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ, রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ও জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের হাত ধরে ছিতাদেবী বিজেপিতে যোগ দেন।
২০১৮ সালে বিন্দোল অঞ্চল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে বসেন ছিতা টুডু। কিন্তু এবছর তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ সভাপতি সহ ২১ জন নির্বাচিত সদস্যকে টিকিট দেয়নি। মানসবাবু বিজেপিতে দুই সপ্তাহ আগে যোগ দিয়ে দলের রায়গঞ্জ ব্লকের কনভেনরের দায়িত্ব পান। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিতা টুডু বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সাংসদ দিলীপ ঘোষ ছিতাদেবী ও মানসবাবুকে দলে যোগ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান। দিলীপ বলেন, ‘যাঁরা পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তাঁরা নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করে নিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এতদিন ধরে পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ চালিয়েছে। মন্ত্রিত্বে আছে। এঁদের মধ্যে যাঁরা ভারী ভারী তাঁরা জেলে চলে গিয়েছে। তৃণমূল মানুষের অধিকার লুঠ করেছে। গ্রাম বাংলার উন্নয়নের জন্য পঞ্চায়েতের পরিবর্তন দরকার আছে।’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘যাঁরা এক সময় সিপিএম বা তৃণমূল করেছেন তাঁরা নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন দেখে এবং দুর্নীতিমুক্ত শাসন দেখে বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। গ্রামেগঞ্জে আগে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হত। এখন লেবার তৈরি হচ্ছে। কারণ গ্রামেগঞ্জে স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষক নেই। লুঠ চলছে। সিপিএম শুরু করেছিল তৃণমূল শেষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বাঙ্গালিকে কাঙাল করে দিচ্ছে। ২৬ সালে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হবে, কিন্তু তার আগে পঞ্চায়েতগুলিতে আমাদের ক্ষমতায় আসতে হবে। পঞ্চায়েত হচ্ছে পরিবর্তনের জায়গা ও উন্নয়নের জায়গা। তাই প্রতিটি স্তরে আমাদের প্রার্থীকে জেতাতে হবে।’
সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির মূল দুই মাথা চলে এসেছে আমাদের দলে। নির্বাচনের আগে আরও আসবে। তাই গ্রাম পঞ্চায়েত সহ পঞ্চায়েত সমিতিগুলি এবার আমরাই আসছি।’ বিজেপির রায়গঞ্জ ব্লক কনভেনর মানস ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল এবার চরম শিক্ষা পাবে।’