আহমেদাবাদ: চারিদিকে থিকথিক করছে পুলিশ। খাঁকি উর্দিধারীদের জটলা কাটিয়ে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মাছি গলারও উপায় নেই।
স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তাও আজ দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গেই নিরাপত্তারক্ষীদের দখলে। আহমেদাবাদ পুলিশের সব শীর্ষ কর্তারা হাজির। বিশালাকার স্টেডিয়ামজুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাসি। যেখানে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমানভাবে হাজির গুজরাট পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয় করার দপ্তরের শীর্ষ কর্তারা। হাজির আধা সামরিক বাহিনীও। সঙ্গে রয়েছে চেতক কম্যান্ডোর দল। এমনকি এনএসজি কম্যান্ডোও রয়েছে মোদি স্টেডিয়ামে।
রাত যত বেড়েছে, স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা কার্যত নিরাপত্তারক্ষীদের দখলে চলে গিয়েছে। মোতেরা এলাকা হয়ে গিয়েছে কার্যত অবরুদ্ধ। রাতের দিকে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মোদি স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে হাজারো নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাজির বহু ক্রিকেটপ্রেমীও। কারোর চাহিদা ফাইনালের একটা টিকিট। আবার কেউ চাইছেন, রাতের মোদি স্টেডিয়ামে হাজির হয়ে যদি রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়।
এমনটাই তো হওয়ার কথা!
১২ বছর পর টিম ইন্ডিয়া দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে। তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানির সামনে টিম ইন্ডিয়া। এমন মায়াবী মুহূর্তের সাক্ষী তো সবাই হতে চাইবেন। তাছাড়া কালকের ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচের সাক্ষী হতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন। জল্পনা সত্যি করে দিয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল আজ এই খবর জানিয়েছেন। প্যাট কামিন্সদের দেশের উপ প্রধানমন্ত্রীও কাল মাঠে হাজির থাকতে চলেছেন। ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ দেশের শীর্ষ কর্তাদের হাজিরার সুবাদে মোদি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে প্রবল কড়াকড়ি চলছে। রাতের দিকে জানা গিয়েছে, অন্তত ১০-১১ হাজার পুলিশ কর্মী কাল মোদি স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার হাজির হয়েছেন আহমেদাবাদে। ফলে কাল মোদি স্টেডিয়ামের ভরা গ্যালারির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিশ্চিতভাবেই বড় চ্যালেঞ্জ।