উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার শুরু হল লোকসভার প্রথম অধিবেশন। এদিন প্রবল বিতর্কের মধ্যেই প্রোটেম স্পিকার হিসাবে শপথ নিলেন ভর্তৃহরি মহতাব। ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরুর দিনই নতুন স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। যদিও প্রোটেম স্পিকার পদে মহতাবের নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু সোমবার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই শপথ নিলেন বিজেপি সাংসদ মহতাব। প্রোটেম স্পিকার হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেসের আটবারের সাংসদ কে সুরেশ। তবে তাঁকে উপেক্ষা করেই ২০ জুন ওডিশার বিজেপি সাংসদ ভ্রাতৃহরি মহতাবকেই প্রোটেম স্পিকার নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী ২৬ জুন লোকসভার স্পিকার নির্বাচন করা হবে।
প্রোটেম স্পিকার হওয়ার দৌড়ে কংগ্রেসের দাবিদার ছিলেন কে সুরেশ। তাঁকে উপেক্ষা করে ভ্রাতৃহরি মহতাবকে প্রোটেম স্পিকার করায় মোদি সরকারের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান লোকসভার সবচেয়ে সিনিয়র সাংসদ হলেন কংগ্রেসের কে সুরেশ এবং বিজেপির বীরেন্দ্র কুমার। দুজনই এখন তাঁদের অষ্টম মেয়াদ পূর্ণ করছেন। যেহেতু বীরেন্দ্র কুমার একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তাই কে সুরেশকে প্রোটেম স্পিকার হিসেবে নিয়োগ করা উচিত ছিল।’
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল বলেছেন, ‘সংসদীয় রীতিনীতি ধ্বংস করার আরেকটি প্রচেষ্টায় ভ্রাতৃহরি মহতাবকে প্রোটেম স্পিকার হিসেবে নিযুক্ত করা হল। উপেক্ষা করা হল কে সুরেশকে। যথাযতভাবে নির্বাচিত হওয়ার আগে প্রবীণতম সাংসদ লোকসভার সভাপতিত্ব করেন। এটা একটা প্রশ্নাতীত নিয়ম। কেন কে সুরেশকে উপেক্ষা করা হল, কী কারণে তাঁকে এই পদের জন্য অযোগ্য মনে করা হল? সরকারের উচিত তার ব্যাখ্যা দেওয়া।’
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বিজু জনতা দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ভ্রাতৃহরি মহতাব। তিনি ওডিশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরেকৃষ্ণ মহতাবের ছেলে। এর আগে তিনি ছয়বার লোকসভায় পা রেখেছেন নবীন পট্টনায়কের দলের হয়ে। এবার তিনি কটক থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন।