চোপড়াঃ শনিবার সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ ছিলেন চোপড়া থানার মুকদুমগছ গ্রামের বাসিন্দা আবুল হুসেন। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় আবুলের ক্ষতবিক্ষত দেহ। শনিবার রাতেই ফাঁকা মাঠে দেহটিকে পড়ে থাকতে দেখেন আত্মীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের আবুলের বাড়ি চোপড়ার থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকদুমগছ গ্রামে। এই গ্রামের মসজিদে তিনি মোয়েজ্জেম ছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন হাতুড়ে চিকিৎসক। শনিবার সন্ধেবেলায় ৬ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাত হয়ে গেলেও তিনি এদিন বাড়ি ফেরেননি। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন। এদিন রাতেই তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে রক্তাক্ত অবস্থায় আবুলের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন আত্মীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে।
রবিবার সকালে মৃতের পরিবারের তরফে চোপড়া থানার অন্তর্গত দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের লোকজনের দাবি, আবুলকে নৃশংসভাবে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁর মাথার পিছনে গভীর ক্ষত ছিল। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, শান্ত স্বভাবের আবুলের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তির দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পরিবারের সদস্যদের।
চোপড়া থানার আইসি সঞ্জয় দাস বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিন এলাকায় স্নিফার ডগ আনা হয়। সব দিক খতিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।