নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি রাহুল গান্ধির! ‘মোদি পদবি’ মন্তব্য মামলায় সুরাট আদালতের ২ বছরের কারাদণ্ডের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার রাহুলের ২ বছরের জেলের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। নিম্ন আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিলেও, তার কারণ ব্যাখ্যা করেনি, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। ফলে সুরাট আদালতের এই রায় আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। পাশাপাশি রাহুলের ওয়েনাড়ের বরখাস্ত সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভবনা উজ্জ্বল হল।
‘মোদি পদবি’ মন্তব্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাহুলের ২ বছর কারাদণ্ডের যে সাজা গত ২৩ মার্চ সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিয়েছিল, তার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুলের করা আবেদন গত ৭ জুলাই খারিজ করে দেয় গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ। গুজরাট হাইকোর্টের আগে সুরাটের দায়রা আদালতও সাজার রায় বহাল রেখেছিল। সাজার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ১৭ জুলাই রাহুলের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। এদিন শীর্ষ আদালত সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্ণাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে দু’বছর কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল। গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদির দায়ের করা ওই ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক। আদালতের রায়ের ভিত্তিতে রাহুলের সাংসদ পদও খারিজ হয়ে যায়। রাহুল সাজার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে সাজা কার্যকরের রায় বহাল রাখেন। রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করেছিলেন এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়ার অবমাননা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হল রাহুলের।