রায়গঞ্জঃ জল ভেবে কীটনাশক খেয়ে গুরুতর অসুস্থ এক বছরের শিশু। এদিন দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে করণদিঘি থানার মোহনপুর গ্রামে। গুরুতর অসুস্থ শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে ওই শিশু রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে শিশুটির নাম কৃতি সিংহ। বয়স মাত্র ১ বছর। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘী থানার মোহনপুর গ্রামে। ওই শিশুর চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করে চিকিৎসা করছে শিশু বিভাগ। এই প্রসঙ্গে অসুস্থ শিশুর বাবা বিশ্বজিৎ সিংহ বলেন, “শোয়ার ঘরে বিছানার নিচে জলের বোতলের মধ্যে ঘাস মারার কীটনাশক রাখা ছিল। সেই সময় আমার স্ত্রী রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। কোনওভাবে শিশুটি ওই কীটনাশকের বোতলের ছিপি খুলে জল ভেবে ওই কীটনাশক খেয়ে নেয়। এরপরই চিৎকার করতে শুরু করে আমার মেয়ে। ছুটে গিয়ে দেখি ঘাস মারার কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমার এক বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে প্রথমে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে আমার মেয়ে সিসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক বলেছেন, আমার মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক।”
রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকদের যে বোর্ড গঠন করা হয়েছে তাদের বক্তব্য ৭২ ঘন্টা না গেলে কিছু বলা সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে অসুস্থ শিশুর মা তুলসী সিংহ বলেন, “স্বামীকে বারবার বলেছিলাম খাটের নিচে কীটনাশকের বোতল রেখো না। আমার কথা শুনলে এদিন এই ঘটনা ঘটত না। কিভাবে জলের বোতল খুলল তা ভেবেই অবাক হচ্ছি। চিকিৎসক বলেছে ৭২ ঘণ্টা পরে রিপোর্ট দেবে। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।এখন ভগবানই ভরসা।”