উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে খবরের শিরোনামে টেট কেলেঙ্কারি। এবার সেই অভিযোগ এল পাহাড় থেকেও। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট কিনতে পাহাড়ে ভুয়ো টেট পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল জিটিএ! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্টা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জিটিএ পাহাড়ে টেটের ভার্চুয়াল ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেছিল।তাতে আবেদন করে প্রায় ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী। বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, ‘জিটিএ আদৌ টেট পরীক্ষা নিতে পারে কি না, তা জানতে তথ্য জানার অধিকার আইনে রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তাতেই রাজ্য জানিয়েছে, টেট পরীক্ষা নেওয়ার অধিকার নেই জিটিএ-র। অর্থাৎ এর থেকেই স্পষ্ট, বিধানসভার আগে ভোট কিনতে ভুয়ো টেটের ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য। সঠিকভাবে তদন্ত হলে পাহাড়েও নিয়োগ দুর্নীতির ভয়াবহ ছবি সামনে আসবে। পাহাড়ের মানুষকে বোকা বানানোর এই চক্রান্ত আমরা বরদাস্ত করব না। নিয়োগ দুর্নীতির শেষ দেখতে যেখানে যাওয়ার সেখানে যাব।’
এনিয়ে রাজু বিস্টা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং সিবিআইয়ের ডিরেক্টরদের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু শাসক দল বিজেপি সাংসদের এই অভিযোগ মানতে রাজি নন। উল্টে তাঁরা দাবি করেছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি তৈরি করতেই বিজেপি নয়া ফন্দি আঁটছে। রাজ্যে প্রাথমিক নিয়োগ থেকে এসএসসি এবং রাজ্যের একাধিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ শিক্ষা দপ্তরের একাধিক পদস্থ প্রাক্তন কর্তা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদের করা টেট কেলেঙ্কারির অভিযোগকে ঘিরে নতুন করে শোরগোল পড়েছে পাহাড়ের রাজনীতিতে।