রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: শনিবার শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় তাঁর খুব কাছাকাছি রইলেন রাজু। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে বহুচর্চিত হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে এদিনের জনসভায় দেখা গেল না। ফলে বিজেপি আবার রাজুকেই দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করছে কিনা, নতুন করে সেই জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে, বিজেপির তিন বিদ্রোহী বিধায়ক এদিনের অনুষ্ঠানে আসেননি। মনোজ টিগ্গাকে প্রার্থী (Candidate) করায় কয়েকদিন ধরে বিদ্রোহী ভূমিকায় দেখা গেলেও এদিন সরকারি অনুষ্ঠান এবং দলীয় সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাকে মোদির পাশে দেখা গিয়েছে।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা টেলিফোনে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমাকে শিলিগুড়ির সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেছিল। কিন্তু একটু দেরিতে আমন্ত্রণ পাওয়ায় যেতে পারিনি। সেটা তাদের জানিয়ে দিয়েছি। যেতে পারলে আমারও ভালো লাগত।’
দার্জিলিং লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। রাজু দ্বিতীয়বার প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও, প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার নামও ভাসছে। শ্রিংলা কিছুদিন ধরে এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা পাহাড়-সমতলে ঘুরে জনসংযোগ করেছেন। এরপরই বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে দিল্লিতে তলব করে। তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন এমনটাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই কিছুটা হলেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন শ্রিংলা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শিলিগুড়িতে আসায় তাঁর সভায় শ্রিংলা থাকবেন কিনা, প্রধানমন্ত্রী দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে কিছু বলবেন কিনা, সেই জল্পনা ছিল। কিন্তু সরকারি অনুষ্ঠান এবং বিজেপির রাজনৈতিক সভায় রাজু বিস্টকে প্রথম সারিতেই দেখা গিয়েছে। তিনি রাজনৈতিক মঞ্চে তো বটেই, সরকারি সভাতেও মোদির উপস্থিতিতে ভাষণ দিয়েছেন। তাহলে কি দার্জিলিং দখলে রাখতে আবার রাজুর উপরেই বিজেপি ভরসা রাখছে, এই প্রশ্ন উঠছে।
এদিনের সভায় বিজেপির পাহাড়ের শরিক দল জিএনএলএফের সভাপতি মন ঘিসিং মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় সারিতে দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বার পাশেই জায়গা হয়েছিল মনের। কিন্তু তাঁকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। মঞ্চে ওঠেননি অপর শরিক সিপিআরএমের সভাপতি জেবি রাই। কার্সিয়াং, গঙ্গারামপুর এবং গাজোলের বিধায়ককেও এদিনের সভায় দেখা যায়নি।