শক্তি প্রসাদ জোয়ারদার, কিশনগঞ্জঃ দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর জুতো পরবেন কিশনগঞ্জের(Kishanganj) এক পঞ্চাশোর্ধ্ব বাসিন্দা। বাবরি মসজিদ(Babri masjid) ভাঙার সময় তিনি করসেবকদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন। সেই সময়ই তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যতদিন অযোধ্যায় রামমন্দির(Ram mandir) নির্মাণ না হবে, ততদিন তিনি জুতো পরবেন না। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন। তাঁর ইচ্ছে পূরণ হওয়ায় সেই দিনই অযোধ্যায়(Ayodhya) গিয়ে পায়ে দেবেন জুতো। সেই দিনটির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার।
কিশনগঞ্জ শহরের অকৃতদার খাগড়ার বাসিন্দা দেব দাস ওরফে দেবু। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংস্থার(RSS) জেলার ভারপ্রাপ্ত কার্যবাহক। এর পাশাপাশি এলাকায় তাঁকে সমাজসেবক হিসেবেও চেনেন সর্বজন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সবসময়ই তাঁকে দেখা যায় খালি পায়ে চলতে। একদিন দু’দিন নয়, বছরের পর বছর ধরে তাঁকে খালি পায়ে চলাফেরা করতে দেখছেন প্রত্যেকেই। কী কারণে তিনি খালি পায়ে চলাফেরা করেন?
জানা গিয়েছে, ২২ বছর আগে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় আরএসএসের করসেবক হয়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন দেব দাসবাবু। সেদিনই তিনি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যতদিন পর্যন্ত অযোধ্যায় স্থায়ীভাবে মন্দির নির্মাণ না হবে, ততদিন তিনি জুতো পরবেন না। অবশেষে হতে চলেছে তাঁর স্বপ্ন পূরণ। অযোধ্যায় স্থায়ী রাম মন্দির নির্মাণ শেষের পথে। আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। সেই দিন অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন তিনিও। দীর্ঘ ২২ বছর পর প্রতীজ্ঞামতো সেইদিনই দেব দাসবাবু পায়ে দেবেন জুতো।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিশনগঞ্জ শহরে কেউ মারা গেলে শবযাত্রায় দেখা যায় দেব দাসকে। কিশনগঞ্জের শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি না থাকায় এখনও শব দাহ হয় কাঠে। আর এই কাঠের চুল্লি সাজানোর জন্য ডাক পড়ে তাঁর। এই কাজ করতে তিনি ভালোবাসেন। এছাড়া কেউ বিপদে পড়লে খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পৌঁছে যান। সবাই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কথা জানেন, কিন্তু মন্দির সংক্রান্ত তাঁর প্রতিজ্ঞার কথা কারোরই জানা নেই।