হরিরামপুরঃ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল হরিরামপুর থানা এলাকায়। রবিবার দুপুরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বছর পঞ্চান্নর এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হতেই সোমবার এলাকাবাসী অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে মারধর করে। খবর পেয়ে হরিরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। এরপরেই ওই প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানাতে।
নির্যাতিতা কিশোরীর মা জানান, ‘আমরা নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ। আমার স্বামী দিনমজুরি করে সংসার চালান। মাঝেমধ্যে আমাকেও কাজ করতে হয়। রবিবার আমি এবং আমার স্বামী বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের ১৩ বছরের মেয়ে বাড়িতে ছিল। তখনই প্রতিবেশী এক প্রৌঢ় বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়ের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। সে চিৎকার শুরু করলে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। বাড়ি ফিরে মেয়েকে কাঁদতে দেখে আমি তার কাছ থেকে সবকিছু জানতে পারি। কিন্তু কোথায় অভিযোগ করব বুঝতে পারছিলাম না। পরে হরিরামপুর থানার আইসির আশ্বাস পেয়ে ওই থানাতেই অভিযোগ দায়ের করি। এরপরেই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।’
স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, ‘ওই ব্যক্তি এর আগেও একাধিক কুকর্ম করেছে। আমরা তাকে সাবধানও করেছিলাম। কিন্তু তারপরেও তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। রবিবার দুপুরে এক নাবালিকাকে তিনি ধর্ষণ করেন। সোমবার বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেই আমরা ওই ব্যক্তিকে গণপ্রহার দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমরা চাই, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’
হরিরামপুর থানার আইসি অভিষেক তালুকদার জানিয়েছেন, ‘নির্যাতিতা কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে মঙ্গলবার পেশ করা হয়েছে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে। এছাড়া নির্যাতিতা ওই নাবালিকার মেডিকেল টেস্টের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।