শিলিগুড়ি: রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পর তিব্বতি বাদামি রংয়ের ভালুক (Tibetan Brown Bear)। বন্যপ্রাণের অস্তিত্ব বা উপস্থিতিতে আরও এক পালক যুক্ত হল সিকিমের (Sikkim) মুকুটে। ভারতে প্রথম তিব্বতি ভালুকের ছবি ধরা পড়ল উত্তর সিকিমে (North Sikkim)। সে রাজ্যের বন দপ্তরের বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরায়।
পাহাড়ের অতি উচ্চতায় যে বহু বন্যপ্রাণের ডেরা বা আনাগোনা রয়েছে, তা গত কয়েক দশকেই টের পেয়েছে সিকিম প্রশাসন। মূলত উত্তর সিকিমে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা যে সবচেয়ে বেশি, তাও বনকর্তারা বুঝতে পারেন নানা ঘটনায়। এমন একাধিক ঘটনার প্রেক্ষিতেই ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ) এবং সিকিম বন দপ্তর (Sikkim Forest Department and WWF) যৌথভাবে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করে। বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়। ওই ক্যামেরাতেই উত্তর সিকিমের মংগন জেলার ফুচুংলাচেনপা, তাসি পালডেন লাচেনপা এবং পালডেন লেপচা এলাকায় তিব্বতি ভালুকের উপস্থিতি ধরা পড়ে গত ডিসেম্বরে। গায়ের রং, শারীরিক গঠন এবং তৃণভোজী হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে এই ভালুকটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির। বনকর্তাদের বক্তব্য, এই ধরনের ভালুক খুব উঁচু জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। অর্থাৎ নিরিবিলি বা জনবসতিহীন এলাকা তাদের পছন্দ।
তিব্বতি ব্রাউন বেয়ারের পরিচিতি রয়েছে টিবেটিয়ান ব্লু বিয়ার নামেও। তথ্য বলছে, সিকিমে ব্রাউন বিয়ারের দেখা মেলার আগে এধরনের তিব্বতি ভালুকের অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে তিব্বতের পাশাপাশি নেপাল এবং ভুটানে। ওয়াইল্ড লাইফ (সংরক্ষণ) আইন-১৯৭২ অনুসারে টিবেটিয়ান ব্রাউন বেয়ার শিডিউল-১’এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।