কলকাতা: শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত উস্তাদ রাশিদ খান (Rashid Khan)। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার (Kolkata) একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
প্রায় মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সংগীতশিল্পী (Music maestro)। ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অনেকদিন ধরে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে পারছিলেন না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠছিলেন। তবে এদিন সকালে হঠাৎই ছন্দপতন হয়। শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে। এরপর ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন রাশিদ খান। গত কয়েক বছর ধরেই ক্যানসারে ভুগছেন এই শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী। শুরুতে মুম্বইয়ের একটি নামী ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে সেখান থেকে কলকাতায় আসেন। এরপর মাঝে মধ্যেই অসুস্থতার কথা শোনা যেত তাঁর। সুস্থ হচ্ছিলেন ধীরে ধীরে। কিন্তু এরপর ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায়, হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এদিন তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মমতা বলেন, ‘আমার ওঁর মুখটা খুব মনে পড়ছে। অল্প বয়সে চলে গেলেন। রাশিদ আমাকে মা বলতেন।’
প্রসঙ্গত, উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম উত্তরপ্রদেশের (Uttar pradesh) বাদাউনে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা সংগীত পরিবারে। উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাইপো তিনি। কাকাই প্রথম শিল্পীকে মুম্বই নিয়ে যান। সেখানেই গানের তালিম নেন। এরপর উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে বাড়িতেই গানের তালিম নেন। শাস্ত্রীয় সংগীতে তিনি মহীরুহ। একাধিক ছবির গান গেয়েছেন তিনি। ‘যব উই মেট’, ‘কিসনা’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘রাজ ৩’-র মতো বলিউড ছবির পাশাপাশি ‘মিতিন মাসি’, ‘বাপি বাড়ি যা’, ‘কাদম্বরী’-র মতো বাংলা ছবিতেও রয়েছে তাঁর গান। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া সংগীত জগতে।