বুনিয়াদপুর: উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য হাসপাতাল থেকে পরপর চারজন চিকিৎসক চলে যাওয়ায় তীব্র সংকটে পড়েছে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা। চলে যাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে তিনজন জেনারেল ফিজিসিয়ান এবং একজন ডেনটিস্ট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বংশীহারী ব্লকের বিভিন্ন প্রাথমিক হেলথ সেন্টার থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
তবে সবচাইতে বড় সমস্যা, ডেনটিস্ট না থাকায়। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় দাঁতের যন্ত্রণা নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় ঘুরে যাচ্ছেন বহু রোগী। অভিযোগ, গত কয়েক মাসের মধ্যে রশিদপুর হাসপাতাল থেকে চারজন চিকিৎসক এমডি করতে অন্যত্র চলে যান। তারপর রশিদপুর হাসপাতালে নতুন কোনও চিকিৎসক না আসায় প্রতিনিয়ত রোগীদের ভিড় সামলাতে হচ্ছে প্রাথমিক হেলথ সেন্টার থেকে আনা চিকিৎসকদের। অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে গঙ্গারামপুরে রেফার করা হচ্ছে। বিশেষ করে গত এক মাস আগে দন্ত চিকিৎসক চলে যাওয়ায় দন্ত বিভাগ তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিদিন আউটডোরে অসহ্য দাঁতের যন্ত্রণা নিয়ে দাঁত দেখাতে এসে রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন।
২০১৮ সালের আগে থেকে এক দন্ত চিকিৎসক এই হাসপাতালে এলাকার রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছিলেন। চিকিৎসক যোগ দেওয়ার পর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় চিকিৎসার জন্য নানা যন্ত্রাংশ সহ অত্যাধুনিক সরঞ্জাম কেনাও হয়েছিল। তদানীন্তন সিএমওএইচ সুকুমার দে ঘটা করে তার উদ্বোধন করেন।
রশিদপুর হাসপাতালে ষাটোর্ধ এক রোগী সুষেন সরকার আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। পুরোনো ডাক্তারবাবুদের আর দেখা যায় না। প্রতিনিয়ত ডাক্তারবাবু পরিবর্তন হয়ে নতুন নতুন ডাক্তারবাবু আসছেন। কিছুদিন থাকার পরে তাঁরা আবার চলে যাচ্ছেন। এতে আমাদের মতো জটল রোগে আক্রান্ত রোগীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
বিএমওএইচ পুলকেশ সাহা জানান, সম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে একটা অর্ডার বেরিয়েছে। তপন থেকে সপ্তাহে তিনদিন একজন দাঁতের চিকিৎসক খুব শীঘ্রই যোগ দেবেন। হাসপাতালে আপাতত পিএইচসি থেকে চিকিৎসক এনে রশিদপুর হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।