উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে আগামী সোমবার এই মামলার (SSC Recruitment Case) পরবর্তী শুনানি হবে বলে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (D Y Chandrachud) বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই রাজ্যের কাছে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন করে, ‘চাকরির পরীক্ষার ওএমআর শিট কতদিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়?’ জবাবে রাজ্যের তরফে আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানান, ১ থেকে ২ বছর সংরক্ষণ করা হয়। এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘সমস্ত ওএমআর শিট তো নষ্ট করে দিয়েছেন, তাহলে কীভাবে যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করবেন?’ জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, তাদের কাছে বিকল্প পথ রয়েছে।
মামলাকারীর কাছে আদালত জানতে চায়, ‘২৫ হাজার বিরাট অঙ্কের সংখ্যা। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করবেন কী করে? এ বিষয়ে আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য স্পষ্ট হতে হবে।’ চাকরি বাতিল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় নিয়ে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘আদালতের অন্য উপায় না থাকলে এধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যদি যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করার ব্যবস্থা থাকে তবে তা হাইকোর্টে জানানো হল না কেন?’ রাজ্যকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘এই দুর্নীতি বিশাল বড়। এই দুর্নীতির সুবিধা কারা পেয়েছে? সেটা জানা দরকার।’
তবে এসএসসি (SSC) যোগ্য-অযোগ্য বাছাইরের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এখন যদি এসএসসি এমনটা করতে পারে তাহলে তাঁরা হাইকোর্টে তা জানাল না কেন? এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। শিক্ষা দপ্তর থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এসএসসি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কমিশন প্রত্যেক যোগ্য ব্যক্তির ওএমআর (OMR Sheet) ও অন্যান্য মাপকাঠি খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত। তাই তারা যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করার কথা বলেছে। অর্থাৎ, সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর শিটের ওপর ভরসা করে, সেগুলি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।