উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার রাতেই প্রবল বিক্রমে সাগরদ্বীপ আর বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রেমালের দাপটে লন্ডভন্ড সাগর এলাকা। রবিবার দুপুরের পর থেকেই রেমালের ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, নামখানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। সোমবার সকালেও সেই ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ভারী বর্ষণ। বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ এলাকা। গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে একাধিক রাস্তা। সঙ্গে বৃষ্টি। ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় শ’য়ে শ’য়ে বাড়িঘরের চাল উড়ে গেছে। সকাল থেকেই এনডিআরএফের টিম জায়গায় জায়গায় গাছ কাটার কাজ শুরু করেছে।
এদিকে, রবিবার সকাল থেকেই সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, নামখানার বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনতে শুরু করেছিল প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বাঁধ ভেঙে একাধিক গ্রামে জল ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ারও খবর মিলেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে নামখানা, পাথরপ্রতিমার পানের বরজগুলিতে। মাথায় হাত পড়েছে পান চাষিদের।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সাগরদ্বীপ থেকে প্রায় আট হাজার মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিল নিরাপদ আস্তানায়। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।