বক্সিরহাট: দিল্লি থেকে একই পরিবারের চার সদস্য মিলে নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসে করে ফিরছিলেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। তবে আচমকা বিহারের রঘুনাথপুরে লাইনচ্যুত হয় ট্রেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বি-৭ সমেত ওই ট্রেনের পাঁচটি কামরা। ফলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাটনা এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের বারকোদালি -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগারখাতা এলাকার বাসিন্দা রিনাবালা বর্মা (৫০)। চিকিৎসাধীন থাকাকালীন রবিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলা যাত্রীর। দেহ ময়নাতদন্তের পর সোমবার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন রেল পুলিশ সহ রেলের তিনজন আধিকারিক। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাটনা এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই পরিবারের আরেক সদস্য। তবে রেল দুর্ঘটনার জন্য রেলের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন মৃতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, বেগারখাতা এলাকার একই পরিবারের সন্তোষ কুমার বর্মা, মুক্তিরাম বর্মা, তাঁর স্ত্রী রিনাবালা বর্মা ও তাঁদের কাকিমা অন্যময়ী বর্মন মিলে গত ২৯ তারিখে গয়াতে গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে দিল্লির এক নিকট আত্মীয়র বাড়িতে কিছুদিন কাটান তাঁরা। তবে সপরিবারে পুজো কাটাবেন বলে গত বুধবার তাঁরা দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশন থেকে নর্থইস্ট এক্সপ্রেসে ওঠেন। সেদিনই বিহারের রঘুনাথপুরে লাইনচ্যুত হয় নর্থইস্ট এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই পরিবারের রিনাবালা বর্মন ও অন্যময়ী বর্মন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর হাসপাতালে। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৪০ কিমি দূরের পাটনা এইমস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই দুজনকে। তবে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন গতকাল রাতে মৃত্যু হয় রিনাবালা বর্মনের।