টোটগাঁও: প্রতিশ্রুতির পরেও নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। গতবছর অগাস্ট মাস থেকে এবছর জুন মাস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দশ মাস কেটে গিয়েছে, তবুও নদী ভাঙন রোধে একটা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়নি। এবারও বর্ষায় ফুলেফেঁপে ওঠা তিস্তার ভয়ানক ভাঙনের কবলে বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নদীর পশ্চিমপাড়ের কৃষিপ্রধান গ্রাম টোটগাঁও। বুধবার গভীর রাত থেকে ভাঙনের কবলে ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে প্রচুর কৃষি জমি। যে গতিতে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে গতবারেরর মতোই আবারও নতুন করে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকার কয়েকটি পরিবার।
এলাকার সামাজিক সংগঠন ‘টোটগাঁও-সুন্দরী বস্তী গোর্খা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি ভীম প্রসাদ শর্মা বলেন, ‘তিস্তার করাল গ্রাস থেকে গ্রাম বাঁচাতে গত ৬ বছর ধরে আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। গতবছর ৪ অগাস্ট ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দু’দিন ব্যাপী অনশন আন্দোলন ছাড়াও বিডিও অফিসের সামনে ২৭ অগাস্ট ধর্নায় বসেও রাজ্য সরকারের তরফে শুধুই প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। একবার শুধু মাল পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তারজালি ও বোল্ডার বেঁধে জলের স্রোত ঘুরিয়ে দেবার ছোট একটু কাজ করা হয়েছিল। জলের তীব্র গতিতে তাও টেকেনি। এবারও একইভাবে ভাঙন শুরু হওয়ায় সোসাইটির তরফে নো ওয়ার্ক, নো ভোটের ডাক দেওয়া হয়েছে।‘
এলাকার বাসিন্দা অনুপ শর্মা বলেন, ‘তিস্তা যেভাবে গ্রামের দিকে এগোতে শুরু করেছে এবছর তাতে আরও ৭টি বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। প্রায় ৩৫০টি পরিবারের বাস টোটগাঁওয়ে। প্রশাসনের উচিত সরকারিস্তরে এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।‘ এই প্রসঙ্গে মালের বিডিও শুভজিত দাশগুপ্তকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি।