গাজোল: নিম্নমানের রাস্তা তৈরির অভিযোগে বিক্ষোভে শামিল এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাটি গাজোল-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাতইল গ্রামের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকা দুটি রেলগেটের মধ্যে একটি রেলগেট বন্ধ করতে চায় রেল দপ্তর। তার জন্য পাশে তৈরি করা হচ্ছে কংক্রিট ঢালাই রাস্তা। কিন্তু রাস্তা তৈরির কয়েকদিনের মধ্যেই ভাঙতে শুরু করেছে সেই রাস্তা। যার ফলে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এর আগে বিক্ষোভ দেখিয়ে কাজ বন্ধ করতে গেলে ঠিকাদার সংস্থা রেলের আধিকারিক এবং আরপিএফ দিয়ে গ্রামবাসীদের ধমকানোর অভিযোগ ওঠে।
গ্রামবাসীদের দাবি, উন্নতমানের রাস্তা তৈরি করা না হলে দীর্ঘদিনের যাতায়াতের পথ ৬ নম্বর রেলগেট বন্ধ করা যাবে না। এই রাস্তা ব্যবহার করেন মাতইল, শ্যামপুর, মিরজাদ পুর, ফতেপুর, কারমা ঘুটু প্রভৃতি গ্রামের কয়েকহাজার বাসিন্দা এবং কৃষক। ২০০ মিটার দূরে রয়েছে আর একটি রেলগেট যার নম্বর ৭। রেল দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে, ৬ নম্বর রেলগেটটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। যার জন্য একলাখী বালুরঘাট রেললাইনের দু’পাশে তৈরি করা হয়েছে কংক্রিট ঢালাই রাস্তা। রেললাইনের ডানদিকের রাস্তা কিছুটা মজবুত হলেও বাঁদিকের রাস্তাটি খুব খারাপ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে রাস্তা তৈরি হওয়ার ৮-১০ দিনের মধ্যেই ভাঙতে শুরু করেছে সেই রাস্তা। বিষয়টি গাজোল রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার এবং কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএমকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী সুকান্ত ঠাকুর বলেন, ‘মাটি ফেলে তাঁর পুকুর বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে আরপিএফ, রেলের আধিকারিক এবং ঠিকাদার সংস্থা এসে গ্রেপ্তারের ভয় দেখাচ্ছে। ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য টাকার বিনিময়ে তার পুকুর থেকে জল নেওয়ার কথা থাকলেও জল নিয়ে এক টাকাও দেয়নি ঠিকাদার সংস্থা। পুকুরের জল শুকিয়ে গিয়েছে। আমরা চাই রেল দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।