শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: একই চেহারার কারণে বারবার ধোঁকা খাচ্ছে বন দপ্তর (Forest Department)। কয়েক বছর ধরে গরুমারায় বন্ধ গন্ডারদের (Gorumara Rhinoceros) নামকরণের কাজ। তবে গরুমারার গন্ডারদের সংখ্যা নির্ণয়ের কাজ করে চলেছে বন দপ্তর। আগামীদিনে কোনও গন্ডারের শারীরিক গঠনের কোনও বিশেষত্ব পাওয়া গেলে তার নামকরণ অবশ্যই করা হবে বলে বন বিভাগ সূত্রে খবর।
সুন্দরী, টারজান, ঘাড়মোটা থেকে বোতল সিং। গরুমারার জীবিত কিংবা মৃত এই গন্ডারদের শারীরিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে কয়েক বছর আগে নামকরণের কাজ করেছিল বন দপ্তর। তাদের প্রত্যেকের সচিত্র পরিচয়পত্র ছিল বন দপ্তরের কাছে। গত কয়েক বছর আগেও গন্ডার শুমারির সময় শাবকদের ছবি তুলে তাদের শারীরিক গঠন অনুসারে নামকরণ করা হত বন দপ্তরের তরফে। কিন্তু গত কয়েক বছরে গরুমারার গন্ডারের সংখ্যা হাফ সেঞ্চুরি পার করলেও নতুন করে নামকরণ আর করা হচ্ছে না গন্ডারদের। কারণ হিসেবে বন দপ্তর জানাচ্ছে, আগে গন্ডারের সংখ্যা ছিল কম, তাই তাদের চেহারার কোনও না কোনও তারতম্য খুঁজে পাওয়া ছিল সহজ। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৬০-এর কাছাকাছি থাকায় গন্ডারদের শারীরিক গঠন একই হওয়ায় তাদের আর আলাদা করে চেনা সম্ভব হয়ে উঠছে না বনকর্মীদের পক্ষে। তাই আর নতুন করে নামকরণ হচ্ছে না গরুমারার গন্ডারদের।
উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘নতুন করে নামকরণের কাজ বন্ধ রয়েছে। কারণ অনেক নতুন গন্ডার শাবক রয়েছে গরুমারায়। যাদের শরীরের গঠন দিনকে দিন বদলাবে। তাছাড়া গন্ডারের নামকরণের কোনও বিশেষত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।’
গন্ডারের এই নামকরণ গন্ডারদের শরীরের বিশিষ্টতা অনুযায়ী করা হয়। যেমন কান হেলা নামের গন্ডারটির একটি কান হেলানো রয়েছে। গত কয়েক বছর আগে মৃত গন্ডার বোতল সিংকে দেখতে ছিল অনেকটা বোতলের মতো। যদিও বনপাল ভাস্কর জেভি জানান, বন্ধ থাকার মানে এই নয় যে, নামকরণ আর করা হবে না। কোনও গন্ডারের বিশেষ কোনও বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেলেই ফের তার নামকরণ করা হতে পারে।