ময়নাগুড়ি: বয়স মাত্র ৮ বছর। ৮ বছরে বাবা, মা ও আত্মীয়দের দেওয়া টাকায় জমেছিল সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। এবার সেই সঞ্চয় ভেঙে ঝড়ে আর্তদের পাশে দাঁড়াল তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী। নিজের এত বছরের জমানো টাকা দিয়ে ঝড় বিধ্বস্ত এলাকার নিজের সমবয়সীদের পাশাপাশি অন্যান্যদের পাশে দাঁড়াল ময়নাগুড়ি শহরের দেবিনগর পাড়ার বাসিন্দা ঋদ্ধিমা রায়। ছোট্ট ঋদ্ধিমার এই উদ্যোগ দেখে সকলেই মুগ্ধ। মেয়ের এই আন্তরিকতা দেখে এগিয়ে এসেছেন ঋদ্ধিমার বাবা বিশু রায়। নিজে আরও দশ হাজার টাকা মিলিয়ে এদিন ঝড় বিধ্বস্ত গ্রামের বাসিন্দাদের জামা, কাপড় তুলে দেন তাঁরা।
ময়নাগুড়ি মর্নিং স্টার কেজি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ঋদ্ধিমা। ময়নাগুড়ি ব্লকের ঝড় বিধ্বস্ত এলাকার অসহায় মানুষদের কথা শুনেছেন অন্যদের মুখে। একদিন বাবা মায়ের সঙ্গে ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে ওই এলাকার মানুষদের সমস্যা নিজের চোখে দেখেছে সে। বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে বায়না জুড়ে দেয় ঝড় বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের সাহায্য করবে সে। এমনকি পয়লা বৈশাখে নিজেও নতুন জামা না নিয়ে সেই টাকা ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় সাহায্যের কথা বলে পরিবারের লোকেদের। মেয়ের কথা মতো তার সঞ্চিত টাকা ও নিজে দশ হাজার টাকা মিলিয়ে বাজার থেকে ২৫টি পরিবারের জন্য পোশাক কিনে আনেন বিশু। এরপর এদিন পরিবারের সকলে মিলে ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে আর্তদের হাতে নতুন জামা তুলে দেন।
ঋদ্ধিমার মা মামন দাস বলেন, ‘মেয়ে ঝড় বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের সাহায্যের কথা বলার পর আমরাও সহমত হই। নতুন বছরের আগের দিন ঝড় বিধ্বস্তদের হাতে নতুন জামা তুলে দিয়েছি।‘