ডালখোলাঃ গৃহকর্তার অনুপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে মারধোর করে আড়াই লক্ষ টাকা ও প্রচুর পরিমাণে গয়না নিয়ে চম্পট দিল সশস্ত্র ডাকাতদল। শুক্রবার রাতে এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে ডালখোলা থানার অন্তর্গত বাভোনিয়া গ্রামে। ডাকাতের মারে জখম হয়েছেন মা ও মেয়ে। ডাকাতির ঘটনায় তিন সন্দেহভাজন যুবককে আটক করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ১০-১২ জনের ডাকাতদল হানা দেয় বাভোনিয়া গ্রামে মিতুল সিকদারের বাড়িতে। ঘটনাচক্রে এই দিনই মিতুলবাবু তাঁর এক মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতে কলকাতায় গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী নমিতা সিকদার ও মেয়ে মিতালি সিকদার। এদিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল বাড়ির সদর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। তাদের বাধা দিতে এলে মিতুল বাবুর মেয়ে মিতালির মাথায় আঘাত করে বন্দুকের বাট দিয়ে। এরপর ডাকাত দলের দুষ্কৃতীরা নমিতা সিকদারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পুরো ঘর লণ্ডভণ্ড করে। প্রায় আধা ঘন্টা ওই বাড়িতে তাণ্ডব চালায় ডাকাতদলটি।
পরিবার সুত্রে খবর, নগদ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা সহ বেশ কিছু সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতদলটি। দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকায় কাউকেই চিনতে পারেননি মা ও মেয়ে। ঘটনার পর মিতালি জানায়, ‘আমার বাবা বোনকে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে রাখতে গিয়েছে। তাই বাড়িতে আমি আর মা ছিলাম। সেই সুযোগে রাতে একদল সশস্ত্র ডাকাত মুখ ঢেকে বাড়িতে হানা দেয়। তারা আমার মাথায় আঘাত করে এবং আমার ও মায়ের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে পুরো ঘর তছনছ করতে থাকে। আলমারিতে থাকা নগদ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা সহ আমার ও মায়ের বেশ কিছু গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। এমনকি তারা যাওয়ার সময় আমাদের বলে যায়, যদি আমরা এই ঘটনা পুলিশকে জানাই তবে তারা আমাদেরকে প্রাণে মেড়ে ফেলবে। আমরা ভীষন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি’।
অন্য দিকে ডালখোলা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান নৌসাদ আলম জানায়, ‘এই ধরনের ঘটনা আমাদের গ্রামে আগে কখনও ঘটেনি। আমরা পুলিশের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
যদিও এই ঘটনা নিয়ে ডালখোলা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, বাভোনিয়া এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা হবে।