বর্ধমান: বিদেশি ডলার ও মুদ্রা মজুত থাকা গৃহস্থ বাড়িতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুট করে চম্পট দিল সশস্ত্র ডাকাত দল। তাও আবার খালি মুখে নয়, রীতিমত ওই গৃহস্থের বাড়িতে বসে মুড়ি, জল খেয়ে, বাথরুম সেরে তারপর চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সোমবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে আউসগ্রাম থানার পুলিশ ওই গৃহস্থের বাড়িতে তদন্তে যায়।
আউসগ্রাম থানার অদূরে পলাশতলা পাড়ায় অনিলকান্তি দত্তের বাড়ি। তাঁর কোথায়, গতকাল রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় ১৫-১৬ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল। সদর দরজার তালা ভেঙে তাঁদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে ডাকাত দলের সদস্যর। বাড়িতে ঢুকেই ডাকাত দলের সদস্যরা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটা দল প্রথমে তাঁর ঘরে এসে ঢুকেই তাঁর হাত-পা বেঁধে দেয়। ওই সময় তিনি চিৎকার শুরু করেন। তা শুনে তাঁর দুই ছেলে ছুটে এলে ডাকাতরা তাদেরও বেঁধে ফেলে। এর পর চারটি দলে ভাগ হয়ে গিয়ে তাঁদের চারটি ঘরে ঢুকে ডাকাতরা লুটপাট শুরু করে দেয়। প্রতিটি ঘরে ঢুকেই আলমারি খুলে লকার ভেঙে ফেলে ডাকাতরা। সেইসব আলমারিতে থাকা ৩০০ মার্কিন ডলার, ৩০০০ জাম্বিয়ার মুদ্রা, ৩ ভরি সোনা, ৫ ভরি রূপোর গয়না, দামি দামি পোশাক ছাড়াও পরিবারের পাশাপাশি পরিবারের সকলের আধার, ভোটার, প্যান কার্ড সমস্ত পরিচয়পত্রও ডাকাতরা লুট করে নেয়।
তিনি আরও বলেন, থানার প্রায় নাকের ডকায় আমাদের বাড়ি। আমাদের বাড়িতে ডাকাতদল হানা দিয়েছে বুঝতে পেরে প্রতিবেশীরাও রাতে আমার বাড়ির সামনে চলে আসে। তার পরেও দমে যাওয়া তো দূরের কথা, উলটে আগ্নেআস্ত্র উঁচিয়ে ডাকাতরা প্রতিবেশীদের তাড়িয়ে দেয়। ডাকাতির পর লুটের সামগ্রী নিয়ে তড়িঘড়ি আমার বাড়ি ছেড়ে পালায় বরং তারা আমার বাড়িতেই মুড়ি, জল খায়, বাধরুম সারে তার পর বাড়ি ছাড়ে। ডাকাত দলের এহেন কীর্তিকলাপ সবিস্তারে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। যদিও পুলিশ ডাকাতির ঘটনার কোনও কূলকিনারা এখনও করতে পারেনি। ডিএসপি বীরেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে ডাকাতির ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।