সামসী: রূপতাজ খানম। তিনি এবার সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে নিট-এ সফল হওয়ায় পরিবার পরিজনদের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে। রূপতাজ খানমদের গ্রামের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারো গ্রামে। গ্রামটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। বাবা রাহানুল আলম একজন প্রাক্তন সৈনিক। মা সাবিনা ইয়াসমিন গৃহবধূ। তাঁরা এক বোন ও এক ভাই। রূপতাজই পরিবারের বড় মেয়ে। ছোট ভাই শাহনেওয়াজ হক অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে।
ছেলেমেয়েদের মানুষ করার জন্য কয়েক বছর আগে চাঁচল আজাদপল্লিতে চলে আসেন বাবা-মা। সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছেন তাঁরা। বাবা রাহানুল আলম জানান, ২০১৯ সালে তুলসীহাটা হাইস্কুল থেকে প্রায় ৮৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাস করেছিলেন রূপতাজ। তারপর ২০২১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে ৮৯ শতাংশ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করার জন্য রাজস্থানের কোটায় এক কোচিং সেন্টারে মেয়েকে ভর্তি করেন রাহানুল। প্রথম দুবার ব্যর্থ হওয়ার পর এবার নিট-এ সফল হন মেয়ে রূপতাজ খানম। ৭২০ নম্বরে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৩০।
রূপতাজ জানায়, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। প্রথম দুবার নিট পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে মনটা খারাপ হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ভেঙে পড়িনি। হাল ছাড়িনি। আশা ছিল সফল হব। এবার সফল হয়েছি।