খড়িবাড়ি: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ পানিট্যাঙ্কির ছোট বদরাজোতের বাসিন্দারা। প্রতিদিন বাঁধের পাশ থেকে প্রায় ২০০ ট্র্যাক্টর বালি-পাথর তুলছে বলে অভিযোগ। যার ফলে বর্ষায় বাঁধ ভেঙে বানভাসী হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ভারত-নেপাল সীমান্তের মেচি নদীর মদন সংসদ ঘাটে শতাধিক ট্র্যাক্টর আটকে বিক্ষোভে শামিল এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, খড়িবাড়ি ব্লকে বর্তমানে বালি-পাথর তোলার একমাত্র বৈধ ঘাট হল মদন সংসদ ঘাট। ব্লকের অন্যান্য ঘাট বন্ধ থাকায় দিনের বেলায় এই মেচিঘাট থেকে বালি-পাথর তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন ২০০ ট্র্যাক্টর ঘাট থেকে বালি তুলছে। প্রতিটি ট্র্যাক্টর অন্তত ৫ থেকে ৬ বার ট্রিপ করছে। বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে এবার তারা মদন সংসদ ঘাটের নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করে ছোট বদরাজোত এলাকায় নদীর চড় থেকে অবৈধভাবে বালি-পাথর তুলছে বলে অভিযোগ। বাঁধের পাশেই রয়েছে গ্রাম। শতাধিক বাড়ি রয়েছে ওই গ্রামে। বারবার বলা সত্ত্বেও কেউ কথা শুনছিল না বলে অভিযোগ। বর্ষায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় আজ সকালে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী জোট বেঁধে সমস্ত ট্র্যাক্টর আটকে বিক্ষোভ শামিল হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। বচসাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল দুটি গোষ্ঠিতে বিভক্ত হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের হয়ে বিক্ষোভ শামিল হল তৃণমূলের মাইনরিটি সেলের খড়িবাড়ি ব্লক সভাপতি নেক খান।
অন্যদিকে ট্র্যাক্টর মালিকদের পক্ষ নেন তৃণমূল যুব ব্লক সম্পাদক অসিত সিংহ। ঘটনার খবর পেয়ে আসেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জীবন নিরালা। তিনি বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘লিজ হোল্ডারকে সীমানা নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত লিজ ঘাটের বৈধ সীমানা নির্ধারণের জন্য খড়িবাড়ি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে জানানো হবে।’ অবশেষে ঘণ্টা দুয়েক পর পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতাদের আশ্বাসে বালি বোঝাই ট্র্যাক্টরগুলি ছেড়ে দেয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।