উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গে যখন দ্বিতীয় দফার ভোট চলছে, ঠিক সেই সময় সন্দেশখালিতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারে ব্যস্ত এনএসজি কমান্ডোরা। একদা সন্দেশখালির বেতাজবাদশা শেখ শাহজাহানের ডেরায় হদিশ মিলেছে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের। এই তৃণমূল নেতার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও প্রচুর বিস্ফোরক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাংলাকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের থেকেও খারাপ অবস্থা বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি-র যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। যদিও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, সবটাই সুসজ্জিত নাটক।
শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “সন্দেশখালিকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছে তা দেখে শিউরে উঠতে হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, এখনও কেন রাজ্যের ডিজিপি ইস্তফা দেবেন না? কেন পুলিশমন্ত্রী ইস্তফা দেবেন না? এখানে জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্তরের জঙ্গীরা ধরা পড়েছে। এখানে ওঁর দলের নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধার হচ্ছে। আমি তো বলব এখানে আরও বড় কোনও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। সেই কারণে এনএসজিকে ডাকতে হয়েছে।”
শঙ্কুদেব জানিয়েছেন, “অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। আজ একটা জায়গা প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যে আরও একাধিক জায়গায় এই পরিস্থিতি রয়েছে। বাংলার অবস্থা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের থেকেও খারাপ।” অপরদিকে, কুণাল ঘোষ তোপ দেগে বলেন, “সন্দেশখালিতে এনএসজি নামানো হয়েছে নাটকের জন্য। ভোটকে প্রভাবিত করার জন্য, সন্দেশখালি ইস্যুতে অক্সিজেন জোগানোর জন্য। যদি অস্ত্র উদ্ধার হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ তার ইন্টেলিজেন্স সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।”