উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্দেশখালির স্ট্রিং অপারেশনের ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির দাবি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ভিডিও বানানো হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তৃণমূলই এই ফেক ভিডিও বানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভাইপো, আইপ্যাক এবং পোর্টালের একজন এটা করেছেন। গঙ্গাধর কয়াল ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে ইমেলে অভিযোগ করেছেন।’ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গাধর সিবিআই-এর ডিরেক্টরকে লেখা ইমেলে অভিষেকের নামও উল্লেখ করেছেন। যদিও এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, ‘ওরা সিবিআইকে বলুক ক্ষমতা থাকলে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেতে।’
গোপন ক্যামেরায় তোলা হয়েছে সন্দেশখালির বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের সেই ভাইরাল ভিডিও। সেই ভিডিওতে বিজেপি নেতা দাবি করছেন, শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে ওঠা ধর্ষণের ঘটনাগুলি সাজানো ছিল। টাকার বিনিময়ে মহিলাদের দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সবটাই ছিল শুভেন্দু অধিকারীর মস্তিষ্কপ্রসূত। এই ভিডিওকে সাজানো এবং তৃণমূলের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে প্রচারে গিয়ে বলেন, ‘সন্দেশখালিকে জাগ্রত করে দিয়েছেন আপনি। ওখানে ১০ বছর ধরে আপনার লোকেরা মাঝরাতে মহিলাদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে কী করেছে, গোটা দেশের লোক জেনেছে। খুব কাঁচা স্ক্রিপ্ট লিখেছে। কোথায় এটাকে নিয়ে যাই দেখবেন শুধু। ভাইপো বলেছে, আমাকে জেলে ঢোকাবে। আমি তো বলেছি, কয়লা ভাইপো জেলে যাবে।’
শুভেন্দুর বক্তব্যের পালটা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘সিবিআই দেখিয়ে রাজনীতি অন্য জায়গায় করবেন। পাঁচ বছর ধরে বিজেপি সিবিআই-ইডির ভয় আমাকে দেখাচ্ছে। আমাকে দিল্লিতে ইডি ডেকেছে, নিরাপত্তা ছাড়া গিয়েছি। সিবিআই-ইডি কী করবে আমাকে জেলে ঢোকাবে? শুভেন্দু অধিকারীকে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে ক্যামেরায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি।’
