উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভাইরাল ভিডিও নিয়ে ফের অশান্ত সন্দেশখালি। রবিবার সকালে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূল চক্রান্ত করে ভিডিও বানিয়েছে। সঙ্গে তাদের প্রশ্ন, গঙ্গাধর কয়াল সন্দেশখালির আন্দোলনের পাশে কবে ছিলেন? এদিকে এই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন খোদ গঙ্গাধর।
গত শুক্রবার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ইউটিউবে প্রকাশিত এক স্টিং অপারেশনে সন্দেশখালি ২ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ ভুয়ো। মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে টাকার বিনিময়ে এই অভিযোগ করানো হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য সরাসরি দায় চাপিয়েছে বিজেপির ওপর। এই ভিডিও সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির আন্দোলনকারীরা।
এদিন গঙ্গাধরবাবুর বাড়ির সামনে স্লোগান দিতে থাকেন সন্দেশখালির মাঝেরপাড়ার বাসিন্দারা। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘উনি আমাদের আন্দোলনের কেউ না। আন্দোলনে আমাদের পাশে ওনাদের কোনও দিন দেখিনি। ওরা কারা? ওরাই মনে হচ্ছে বহিরাগত। তাহলে ওনারা আমাদের আন্দোলনকারীদের নিয়ে এই সব কথা বলবেন কেন? আমরা চাই ওনাকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমরা মেয়েরা বুঝে নেব উনি এই কথাগুলো কেন বলেছেন, কার কাছে কত টাকা খেয়ে বলেছেন? ওনার কাছে এগুলো শুনে আমরা সংবাদমাধ্যকে যা বলার বলব।’
আরও এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারী, আমরা সাধারণ মানুষ। আমরা আমাদের সমস্যার জন্য প্রতিবাদে নেমেছি। আমাদের প্রতিবাদ নিয়ে কেউ যদি নিন্দা করে আমরা তাকে ছেড়ে দেব না। শুভেন্দুদার সঙ্গে ওনার ব্যাপার, উনি কোথা থেকে কী পেয়েছেন না পেয়েছেন, কিন্তু আমাদের আন্দোলন সত্যি। আমরা এতগুলো লোক বলছি, হচ্ছে না? ওনার একার কথাই সত্যি? তাহলে ওনাকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিক। আমরা মেয়েরা বুঝে নেব।’
এই প্রসঙ্গে, গঙ্গাধর কয়াল বলেন, ‘আমার কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে। এমনকি চক্রান্ত করে এই ভিডিও বানানো হয়েছে। আমি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করছি।
