ভাস্কর শর্মা, ফালাকাটা: স্কুল পোশাকে নয়। আজ অন্য বেশে, শাড়িতে। শাড়িতেই ছোটরা বড় হয়ে ওঠার আস্বাদন খুঁজবে। নবীন প্রজন্মও এই সরস্বতীপুজোতে (Saraswati Puja) শাড়িকে বেছে নিয়েছে। বুধবার সরস্বতীপুজো। বাঙালির ‘ভালোবাসার দিন’। তাই মেয়েরা বেছে নিয়েছে শাড়িকেই। সরস্বতীপুজোকে কেন্দ্র করে শাড়ির চাহিদা বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও।
অষ্টমীতে যেমন শাড়িই বাঙালির বিশেষ পোশাক। তেমনই সরস্বতীপুজোতেও শাড়ি ছাড়া কিছু ভাবতেই পারে না মেয়েরা। সারাবছর যাই পরুক না কেন, এই একটা দিন সকাল সকাল কাঁচা হলুদ মেখে স্নান করে শাড়ির ভাঁজ খুলে পরবে মেয়েরা। মায়ের শাড়ির দিকে নজর থাকলেও বাজারে রেডিমেড শাড়ি, ছোটদের শাড়ি এখন নজর কেড়েছে সকলের।
সরস্বতীপুজোতেই কেন এই শাড়ির চল? তার অবশ্য কোনও নির্দিষ্ট উত্তর নেই। তাই তো একেবারে প্রাথমিক স্কুল থেকে কলেজ পড়ুয়া, সকলেই বুধবার শুধু শাড়িতে মগ্ন হতে চায়। তাদের এই শাড়ির মগ্নতায় অবশ্য পোয়াবারো শাড়ি ব্যবসায়ীদের।
ফালাকাটা হাইস্কুলের (Falakata High School) বাংলার শিক্ষিকা বীথিকা কুণ্ডু বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন সাজগোজের ধরণ পালটেছে। এখনকার মেয়েরা অনেক বেশি স্মার্ট। তবে সরস্বতীপুজো মানেই শাড়ি। এই সরলীকরণ আজও ধ্রুব সত্য। তাই ছোট হোক বা বড়, শাড়িই প্রথম পছন্দ।’
ফালাকাটা কলেজের (Falakata college)) ছাত্রী পায়েল সাহা জানান, সরস্বতীপুজোয় সেই ছোটবেলা থেকেই হলুদ শাড়ি পরে ঘুরতে বের হই। সেই ট্র্যাডিশন আজও ধরে রেখেছি। তাই এবারও হলুদ রংয়ের শাড়ি কিনেছি।
এদিকে জানা গিয়েছে, ফালাকাটায় সরস্বতীপুজোকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দোকানে শাড়ি বিক্রি হয়েছে। সাধারণ হলুদ শাড়ি বাদেও বুটিকের কাজ করা শাড়িও বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার অনেক দোকানেই সন্তানের জন্য শাড়ি কিনতে এসেছিলেন অভিভাবকরা। শীতের শেষে শাড়ি বিক্রির পাশাপাশি আবার কসমেটিক্সের দোকান, বিউটি পার্লারগুলিতেও মঙ্গলবার ভালোই ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে।
ফালাকাটার এক কাপড় ব্যবসায়ী প্রদীপ সাহা বলেন, ‘এমনিতেই বিয়ে ছাড়া শীতে শাড়ি কম বিক্রি হয়। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে হলুদ শাড়ির চাহিদা বেড়েছে। সরস্বতীপুজো উপলক্ষ্যে এবার বেশ অনেকগুলো শাড়ি বিক্রি করেছি।’